খবরবাড়ি ডেস্কঃ
দিনাজপুর ঘোড়াঘাটে সিংড় ইউনিয়ন বিরাহিমপুর,গুচ্ছ গ্রামে অবস্থিত রহিম শাহ বাবা ভান্ডারি নামীয় মাজারে ইসলাম পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫ ঘটিকায় স্থানীয় জনসাধারণ মাজারে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর করে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায় স্বাধীনতার পর ময়মনসিংহ হতে হামিদ ভান্ডারি নামীয় ব্যক্তি উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নে বসতি শুরু করেন, আর এই হামিদ ভান্ডারি ১৯৮১ সালে ঢাকার জিন্জিরা হতে রহিম শাহ ভান্ডারি কে তার বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং বসতি করার সুযোগ করে দিলে পরবর্তী সময়ে এই হামিদ ভান্ডারি ও রহিম ভান্ডারি মিলে প্রতি বছর
ওরস আয়োজন করে থাকেন, এবং এই ওরসে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে ভক্তরা আশা যাওয়া করে থাকে, কিন্তু এই বিষয় গুলো ইসলাম ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় স্থানীয়রা কখোনই মেনে নিতে পারছিলেন না।এরই মধ্যে রহিম ভান্ডারি মারা গেলে ২০০৭ সালের দিকে হামিদ ভান্ডারি রহিম ভান্ডারির কবর কে মাজার হিসাবে আখ্যা দিয়ে বিরাট নান্দনিক স্থাপনা করে ভক্তদের কে আকৃষ্ট করে ইসলাম পরিপন্থী কার্যকলাপ করে থাকলে স্থানীয়দের দীর্ঘ দিনের পুষে রাখা ক্ষোভ এবং সীরতে মুস্তাকিম পরিশদের একাংশের সঙ্গে একাত্ম ঘোষণা করে ইসলাম পরিপন্থী কর্মকান্ড করা মাজার নামীয় স্থাপনায় অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুর করে থাকে এবং ওরস এর জন্য রাখা গরু, ছাগল, চাল,ডাল উত্তেজিত জনগন নিয়ে যায়। বর্তমানে মাজারটির দায়িত্ব প্রাপ্ত খাদেম শহিদুল ইসলাম জিন্নর সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক জানান এখন পর্যন্ত কোন প্রকার মামালা হয়নি তবে বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
উল্লেখ্য রহিম শাহ বাবা ভান্ডারি মাজার প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও ২,৩,৪ মার্চ পর্যন্ত বাৎসরিক ওরস আয়োজন হওয়ার কথা ছিলো।