বানিজ্যিকভাবে গোলাপ ও চন্দ্র মল্লিকা ফুলের চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন আব্দুল হামিদ খন্দকার সহ তার দুই ছেলে সাইদুর রহমান ও সেলিম খন্দকার, পলাশবাড়ী উপজেলার শেষ সীমানা রংপুরের পীরগন্জ উপজেলার আজমপুর ফকিরপাড়া গ্রামে নিজ বসত বাড়ীর পিছনে নিজের ও বন্ধকি জমিতে ফুল চাষ করে হয়েছেন স্বাবলম্বী সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা।
১১ বিঘা জমিতে গোলাপ ও চন্দ্র মল্লিকা ফুল চাষ করে বছরে প্রায় পাঁচ হতে আট লক্ষাধিক টাকা আয় করেন এই সফল ফুল চাষি। ফুলের কালার ও কোয়ালিটি ভেদে শতকরা গোলাপ ফুল দুই শত টাকা থেকে এক হাজার টাকা দরে বিক্রি করেন বলে জানান।
ফুল চাষি আব্দুল হামিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি আগে ১৯৯৮ সালে ঢাকার আশেপাশে হতে ফুল কিনে নিয়ে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় পাইকারী বিক্রি করতাম আর সেখান থেকেই আগ্রহী হয়ে দুই ছেলে কে নিয়ে ২০১৮ সালের শেষের দিকে বানিজ্যিক ভাবে নিজ জমিতে ফুল চাষ শুরু করি এবং এতে করে আমি সহ আমার পরিবার আজ সবাই স্বাবলম্বী। বীজ সংগ্রহ কোথায় থেকে করেন ও এক বিঘা জমিতে ফুল চাষ করতে কেমন খরচ হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন বীজ পাশ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া হতে নিয়ে আসি, আর এক বিঘা জমিতে গোলাপ চাষে প্রথম অবস্থায় খরচ হয় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা আর চন্দ্র মল্লিকা চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৬০ হাজার টাকা। কৃষি অফিস থেকে কোন সহযোগিতা কিংবা পরামর্শ দেয় কিনা জানতে চাইলে বলেন, না কৃষি অফিস হতে কোনরকম সহযোগিতা আমরা কখনোই পাইনি।