আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ৩০টি লঞ্চ-জাহাজ চলাচল করবে। ঈদে ঘরমুখো মনুষদের নির্বিঘেœ বাড়ি পৌঁছে দিতে ঈদের আগে ও পড়ে বিশেষ সার্ভিসের মাধ্যমে ডাবল ট্রিপ দেবে লঞ্চগুলো। আগামী ২২ জুন থেকে জাহাজের অগ্রিম টিকেট বিক্রি করবে বিআইইডব্লিউটিসি এবং ১৫জুন থেকে বেসরকারি লঞ্চের টিকেট বিক্রি শুরু হবে।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদের দেয়া তথ্যনুযায়ী, ঈদে যাত্রীদের সেবা দিতে সরকারি এই সংস্থার সব ধরনের প্রস্তুতি চলছে। আগামী ২২ জুন থেকে ঈদের বিশেষ সার্ভিস চালু হওয়ার কথা রয়েছে। আর ১৫ জুন থেকে বিশেষ সর্ভিসের অগ্রিম টিকেট বুকিং শুরু হবে। অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট বুকিং দেয়া যাবে।
এবারের যাত্রী পরিবহনে সংস্থার নিয়মিত ৪টি জাহাজের পাশাপাশি অরো ২টিসহ মোট ৬টি জাহাজ চলাচল করবে। এগুলো হলো এমভি মধুমতি, পিএস মহসুদ, লেপচা, টার্ন, এমভি বাঙালী ও অষ্ট্রিচ। ঢাকা-বরিশাল এবং ঢাকা-মোরলগঞ্জ, হুলার হাট ভায়া বরিশাল রুটে এসব জাহাজ যাত্রী পরিবহন সেবায় নিয়জিত থাকবে।
এদিকে বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটে এবারের ঈদ সার্ভিসে সরাসরি যুক্ত থাকবে ১৭টি লঞ্চ। এ গুলা হলো সুন্দরবন-৮, ১০, ১২। সুরভি-৭, ৮, ৯। পারাবত- ২, ৭, ৯, ১০, ১১, ১২। এমভি-টিপু-৭। এমভি-ফারহান-৫। কীর্তনখোলা-২। দ্বীপরাজ ও কালাম খান-২। এর বাইরে বরগুনা-ঢাকা, ঝালকাঠী-ঢাকা ভায়া বরিশাল রুটে চলাচল করবে পুবালীসহ আরো ৪টি লঞ্চ। একই সাথে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে আরো ২টি লঞ্চ চলচল করবে।
অন্যদিকে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিণœ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবে ঘাটগুলোতে প্রয়োজনীয় যাত্রী ছাউনি, বিশ্রাামাগার, পর্যাপ্ত টয়লেট ব্যবস্থা করা হবে। লঞ্চ ও বাসষ্টান্ড গুলো সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। যাত্রী সচেতনতায় সর্তকর্তামূলক মাইকে ও মনিটরে প্রচার করা হবে।
এছাড়া লঞ্চ ও গাড়ির অনুমদিত ভাড়ায় চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় এবং লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ ছাড়ার পর পথিমধ্যে লঞ্চ থামিয়ে নৌকা বা অন কোন মাধ্যমে যাত্রী বা পণ্য উদ্ধারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোটের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন বন্ধ করতে কোষ্টগার্ড ও নৌ পুলিশকে সর্তক দৃষ্টি রাখার জন্য বলা হয়েছে।সূত্র- বাসস