1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ১২:১২ অপরাহ্ন
৩রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৭ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ীতে কৃষি বিভাগের উদ্যোগে সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি বিয়ষক ৩ দিনের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন ইয়েমেনে হুতিদের ওপর মার্কিন হামলায় নিহত ৩১ জনগণ সুযোগ দিলে সকল হত্যা-নির্যাতনের বিচার করবো: তারেক রহমান ৭ কলেজের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হচ্ছে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি সুন্দরগঞ্জে জনতার হাতে পিকআপ ভর্তি চাল আটক নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতার বিচারের দাবীতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন “অধ্যক্ষ বললেন ছাত্রীকে” আমি রোযা থাকি না, তুমি চলে আসো সাদুল্লাপুরে আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব গ্রেফতার পলাশবাড়ীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন পলাশবাড়ী উপজেলা ও পৌর জাসাস-এর ইফতার মহাফিল

নড়াইলের বিশ্বকর্মার গ্রামে নৌকা শিল্পকে আজও টিকিয়ে রেখেছেন যারা!

  • আপডেট হয়েছে : সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৯ বার পড়া হয়েছে

উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■

নড়াইলের শতভাগ হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস (বিশ্বকর্মার) গ্রাম খ্যত রামসিধি নৌকা শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছে ডহর রামসিধি গ্রামের ২৫ পরিবার নড়াইলের নৌকা শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছে। বর্ষা মৌসুমে এখানকার ডিঙ্গি নৌকা জেলার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও আশে পাশের কয়েকটি জেলায় বিক্রি হয়ে থাকে। চাহিদা থাকায় রামসিধি গ্রামেই গড়ে উঠেছে ডিঙ্গি নৌকার হাট। এখানকার দরিদ্র নৌকা শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী এ কুটিরশিল্পকে অনেক কষ্ট করে টিকিয়ে রাখলেও বিসিক বা কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো সহায়তা পান না। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায় জানান, জানা গেছে, সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের ডহর রামসিধি গ্রামের এসব পরিবার কয়েক পুরুষ ধরে নৌকা তৈরির পেশার সাথে জড়িত। আগে এসব নৌকা তৈরি করে খুলনার আবালগাতি, নড়াইলের পেড়লি ও খড়রিয়া হাটে বিক্রি করলেও এখন গত ১০ বছর ধরে এ গ্রামেই জেলার একমাত্র নৌকা বিক্রির হাট গড়ে উঠেছে। সপ্তাহে প্রতি বুধবার হাটে গড়ে ৭০ থেকে ৮০টি ডিঙ্গি নৌকা ওঠে। নড়াইলের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও খুলনা, মাগুরা ও যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বর্ষা মৌসুমে এবং মাছের ঘেরে বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য নৌকা কিনতে আসেন। জানা গেছে,জেলায় বর্তমানে শুধু ডহর রামসিধি গ্রামেই পেশাগতভাবে নৌকা তৈরি হয়। ডহর রামসিধি গ্রামের নৌকা শিল্পী নিখিল বিশ্বাস (৫০) বলেন, এ গ্রমের মানুষ কয়েক পুরুষ এ পেশার সাথে জড়িত। আষাড় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত ৫ মাস নৌকা গড়ে। এক সময় নৌকা গড়ে প্রায় সারা বছর সংসার চললেও এখন পানি কমে যাওয়ায় নৌকার চাহিদা কমছে। এবার ৬-৭ মাসের বেশী সংসার চলবে না। মৌসুমের শুরুতে একটি নৌকা ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা বিক্রি হলেও এখন ৩৫শ টাকার বেশী বিক্রি হচ্ছে না। নৌকা শিল্পী শিশু সিকদার (৫৫) ও স্বপন বিশ্বাস (৬০) জানান, মৌসুমের শুরুতে কাঠ কিনতে কিছু অর্থ লোন প্রয়োজন পড়ে। এজন্য স্বল্প সূদে লোন পেলে তাদের অনেক উপকার হতো। নৌকা নির্মাতা শান্তিরাম বিশ্বাস (৬৫) জানান, একটি নৌকা গড়তে ৩টি শ্রমিকের প্রয়োজন। এসব নৌকা ২ বছর ভালো থাকে। তবে আলকাতরা লাগানো হলে ৪ থেকে ৫ বছর চলে। সুশেন মল্লিক (৪০) জানান, বর্তমানে এ পেশার প্রতি মানুষের ঝোঁক কমে যাচ্ছে। কারন একদিকে চাহিদা কমছে, অন্যদিকে লাভও কম। অনেক সময় নৌকা অবিক্রিতও থেকে যায়। সঞ্জয় বিশ্বাস (৩৫) জানান, একটি নৌকা গড়তে ৩টি শ্রমিকের প্রয়োজন। কাঠ ক্রয় ও বহন, শ্রমিকের মজুরি ও লোহার জিনারিসহ একটি নৌকা গড়তে প্রায় ৩ হাজার টাকা খরচ পড়ে। সাধারনত ৩৫শ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। অনেকে বাড়ি থেকেও স্পেশালভাবে বেশী দাম এবং ভালো কাট দিয়ে নৌকা তৈরি করে। নৌকা ক্রেতা লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ি গ্রামের বিল পাড়ার জমির শেখ জানান, বর্ষাকালে এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি যাওয়া-আসা, ফসল আনা, মাছ ধরা, শাপলা তোলা, শামুক কুড়ানোসহ বিভিন্ন কাজে ডিঙ্গি নৌকা খুবই জরুরি। এসব নৌকা ব্যবহারের সুবিধা হল একটি মাত্র বৈঠা দিয়েই এটা চালানো যায়। হালের প্রয়োজন হয়না। চলেও দ্রুত। বিসিক নড়াইল কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক বলেন, নড়াইলে মাত্র দু’মাস যোগদান করেছি। রামসিধির নৌকা শিল্পের বিষয়ে শুনেছি। তাদের সাথে খুব শীঘ্র যোগাযোগ করব। কয়েকদিনের মধ্যে বিসিকের উর্ধতন কর্মকর্তা নড়াইলে আসবেন। তখন এই নৌকা শিল্পের সাথে জড়িতদের কিভাবে বিসিক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন দেওয়া যায় সে ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপ করব।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft