গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় এক বীরঙ্গনার বাড়ি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করলেন জামায়াতের উপজেলা চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদুল্যাপুর শহরের উত্তরপাড়ায় বীরঙ্গনা ফুলমতি রবিদাশের জন্য সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত বাড়ী নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মুন্সি। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর ওয়েবসাইটে তাদের দল থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নামের তালিকায় সাইদুর মুন্সির নাম রয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় বীরঙ্গনা ফুলমতির জন্য সরকার একটি বাড়ি বরাদ্দ দেয়। বাড়ি নির্মাণ উদ্বোধনকালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাদুল্যাপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়া খাঁন বিপ্লব, প্রেসক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান ফারুক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হেলালুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড মেছের আলী সরকার, ডেপুটি কমান্ডার নুরুন্নবী সরকার তারা, মুক্তিযোদ্ধা দেলওয়ার রহমান, মকবুলার রহমান মুকুল, মসজিদের ইমাম বেলাল হোসেন, নিসচা’র যুগ্ন আহবায়ক জাহিদ খাঁন উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়া খান বিপ্লব বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা খাতুন সাদুল্যাপুরের বাইরে থাকায় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। বীরঙ্গনা ফুলমতির বাড়ী উদ্বোধনকালে তাকে উপস্থিত থাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুরোধ করেছিলেন। তিনি সেখানে যাওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মুন্সিকে দেখতে পান। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ওই বাড়ীর উদ্বোধন করেন।
সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বলেন, কর্ম এলাকার বাইরে অবস্থান করায় তিনি উদ্বোধনকালে সেখানে থাকতে পারেননি। একজন মুক্তিযোদ্ধা তাকে ফোন করলে, তিনি সেই মুক্তিযোদ্ধাকে উদ্বোধন করার জন্য বলেন। পরে শুনতে পান উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মুন্সি বীরঙ্গনা ফুলমতির বাড়ী নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মুন্সি’র সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সাদুল্যাপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মেছের উদ্দিন সরকার বলেন, সাইদুর মুন্সি নিজে যদিও বিএনপির চেয়ারম্যান হিসেবে দাবী করেন, কিন্তু তিনি জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত আমাদের আগে থেকেই জানা। কিন্তু ফুলমতির বাড়িতে গিয়ে সাইদুর মুন্সিকে দেখে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরি। তার দ্বারা বীরঙ্গনা ফুলমতির বাড়ী উদ্বোধনের বিষয়টি লজ্জাকর, এটি আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারিনি। বাস্তব পরিস্থিতির কারণে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কিছুই বলতে পারিনি।