1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪০ অপরাহ্ন
১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৫ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনামঃ
পলাশবাড়ী‌তে পূর্বশত্রুতার জে‌রে পুকুরে বিষ প্রয়োগ ক‌রে দুই লাখ টাকার মাছ নিধন গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়ি থেকে ৩৭ লাখ টাকা উদ্ধার অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাভোগীদের বিএনপিতে স্থান হবে না গাইবান্ধায় ইফতার মাহফিলে- আনিসুজ্জামান বাবু মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুতে গাইবান্ধার দারিয়াপুরে শোক ও প্রতিবাদ সমাবেশ পলাশবাড়ীতে জিয়া পরিষদের পরিচিতি সভা ও ইফতার মাহফিল গাইবান্ধায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দোল পূর্ণিমা উদযাপন পলাশবাড়ী উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে ৭২টি ওয়ার্ডে একযোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা-নিপীড়ন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরাতে জাতিসংঘের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার প্রধান উপদেষ্টার গোবিন্দগঞ্জের রাখালবুরুজ ইউনিয়নে জামায়াতে ইসলামীর ইফতার মাহফিল

কক্সবাজারে দেশের সর্ববৃহৎ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট হয়েছে : শনিবার, ৬ মে, ২০১৭
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ কক্সবাজারে দেশের সর্ববৃহৎ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করেছেন।
কক্সবাজারের কলাতলী থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সমুদ্রের পাড় দিয়ে চলে যাওয়া এই ৮০কি.মি দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের সড়ক পথটি ৪-লেন করার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের অর্থনীতিতে কক্সবাজারের গুরুত্ব বিবেচনায় চট্টগ্রাম-কক্সকাজার সড়কটিও ৪-লেন করার ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মেরিন ড্রাইভওয়ে ’৭৫ এর পর থেকে দীর্ঘদিন অবহেলিত কক্সবাজারের সৌন্দর্য অবলোকনে শুধু পর্যটকদের আকর্ষণই করবে না বরং এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রশস্থ এই মেরিন ড্রাইভটি নির্ধারিত সময়ের ১৪ মাস আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালযের সচিব এম এন সিদ্দিক।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদসবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও আমন্ত্রিত অতিথিবর্গসহ সরকারের সামরিক ও বেসামরিক পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে একটি আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দর হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে কক্সবাজারের পর্যটন এলাকার সম্প্রসারণ এবং উন্নয়নের নানা পরিকল্পনার কথাও তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের এই রাস্তাটিকে ৪-লেনে উন্নীত করা হবে। কারণ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ৪-লেন আমরা করেছি। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এই রাস্তাটিকেও ৪-লেনে উন্নীত করে যোগাযোগের ব্যবস্থা করবো।
তিনি বলেন, কক্সবাজার এয়ারপোর্টে যাতে প্রতি সপ্তাহে ঢাকা থেকে অন্তত একটা ফ্লাইট আসতে পারে আপাতত সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার বামনবন্দরটিকে একটি আধুনিক-উন্নত বিমানবন্দর হিসেবেই গড়ে তোলা হবে। সেই প্রকল্প ও আমরা শুরু করেছি। আপাতত একটি টার্মিনাল ভবন থেকে শুরু করে সবকিছুর কাজ আমরা শুরু করবো।
তিনি বলেন, আর যে সমস্ত মানুষ এই এলাকায় থাকতো- আপনারা জানেন, প্রায় ৪ হাজারের মত মানুষ তাদের জন্য আমরা আলাদাভাবে নদীর (কর্ণফুলী) ওপারে আমরা ঘর-বাঢ়ি ও ফ্লাট তৈরি করে দিচ্ছি। এদের অধিকাংশই শুটকি তৈরি করেন, শুটকি বিক্রি করেন। তাদের জন্য সেখানে শুটকির হাটও করে দেয়া হবে। শুটকি মাছ শুকানোসহ তাদের বাসস্থানেরও জায়গা করে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে সেই উন্নয়নের কাজও চলছে এবং নদীর ওপরে শিগগিরই ব্রীজ বানানো হবে। এখানকার মানুষগুলোকে সেখানে পুনর্বাসনের পাশাপাশি আমরা বিমানবন্দরের জন্য নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণ করবো এবং রানওয়েটাকেও আরো প্রশস্ত ও দীর্ঘ করা হবে। এটা যেহেতু আন্তর্জাতিক এয়ার রুটে পড়ে তাই ভবিষ্যতে যেকোন দেশ থেকে এখানে এসে যেন বিমান রিফ্যুয়েলিং করতে পারে তার ব্যবস্থাও করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের জন্য আমাদের সেনাবাহিনী যে কষ্ট করেছে, তারা সেই ২০১০ সালে যখন কাজ শুরু করলো, এখানেতো কাজ করতে গেলেতো ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতি দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করেই কাজ করতে হয়। এখানে কাজ করতে গিয়েই পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে আমাদের সেনাবাহিনীর ৬ জন সদস্য জীবন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের আত্মার মাগুফেরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবোরের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
তিনি বলেন, আমার খুব কষ্ট লাগছে, আবার একদিকে আমরা আনন্দিত। আমার এতগুলো মানুষ এখানে জীবন দিয়েছেন, যারা এখানে ক্যাম্প করে ছিলেন। কিন্তু তারা সেখানে মাটিচাপা পড়ে জীবন দিয়ে যান। তাদের কথা সবসময়ই আমার মনে হয়। এত বাধাবিঘœ অতিক্রম করে নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই আমাদের সেনাবাহিনী বিশেষ করে ১৬ ইসিবি এটাকে সুন্দর করে নির্মাণ করে দিয়েছেন। এজন্য তিনি এই কর্মের সঙ্গে সংযুক্ত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, সকলে খুব আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই এই অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর দেশসেবার সুযোগ লাভের পর থেকেই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সার্বিকভাবে দেশের উন্নয়নের। তিনি বলেন, কক্সবাজার সবসময়ই অবহেলিত ছিল, এত সুন্দর আমাদের একটা সমুদ্র সৈকত। সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এবং দেশ-বিদেশ থেকে মানুষ আসে। কাজেই এই অঞ্চলটাকে আরো সুন্দরভাবে ও আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলাটা আমাদের কর্তব্য বলেই আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, এই কক্সবাজারে আমি অতীতে বহুবার এসেছি, শুধু যে বেড়াতে এসেছি তা নয়, ’৯১-এর প্রলংকরি ঘুর্ণিঝড়ের পর আমরা এখানে এসে দিনের পর দিন থেকেছি। বিভিন্ন দ্বীপে দ্বীপে ঘুরে বেড়িয়েছি। তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে কিছুই ছিল না, মাছের ট্রলারে করে ঘুরে বেড়িয়েছি, সাম্পানে করে বা কেউ একটু লঞ্চে পৌঁছে দিয়েছে সেভাবে ঘুরেছি। পায়ে হেঁটে প্রত্যেকটি অঞ্চল ঘুরে রিলিফ ওয়ার্ক করেছি এবং দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
শেখ হাসিনা বলেন, সব সময়ই একটা চিন্তা ছিলো যে, কিভাবে এই দরিদ্র মানুষগুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাব। আজকে যে মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন হলো সেই মেরিন ড্রাইভের মধ্যদিয়ে যেমন মানুষ সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ পাবে সেই সাথে সাথে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেরও বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ অঞ্চলের মানুষের সার্বিক উন্নয়নের একটি নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি আমাদের এই দেশটাকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা অনেক উন্নয়ন কাজ করেছি। তবে, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই খারাপ অবস্থায় রয়েছে যে, তা বলার মত নয়। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর জন্যই কক্সবাজারের যোগাযোগ অববাঠামোর সার্বিক উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর জঙ্গিবাদ বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির পুনরোল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে, এখানে সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে বসবাস করবেন সেটাই আমরা চাই।’সূত্র- বাসস

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft