মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কন্টেন্ট অপসারণ প্রসঙ্গে ‘প্রধান উপদেষ্টার আদেশ’ দাবিতে ভারতীয় গণমাধ্যমে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক টিম পরিচালিত অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে। পিআইবি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
ফ্যাক্টচেক টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি প্রচার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কন্টেন্ট অপসারণের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়নি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশ বেতার প্রকাশিত একটি অফিস আদেশের তথ্যকে বিকৃত করে ওই তথ্য প্রচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বেতারের অতিরিক্ত পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশ খুঁজে পাওয়া যায়। অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বেতারের সকল কেন্দ্র/ইউনিটের ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেজসমূহ পর্যালোচনা করে সরকারি নীতিমালা বহির্ভূত সকল প্রকার ছবি, তথ্য এবং কন্টেন্ট অপসারণপূর্বক ২ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩ ঘটিকার মধ্যে সদর দপ্তরের প্রশাসন শাখাকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’ ওই অফিস আদেশে মুক্তিযুদ্ধ কিংবা পাকিস্তান প্রসঙ্গে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
ফ্যাক্টচেক টিম জানায়, গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্যকোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে ওই দাবির পক্ষে কোনো তথ্য বা সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কন্টেন্ট অপসারণ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আদেশ দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রমাণিত হয়েছে।