বিপিএলের ষষ্ঠ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ফরচুন বরিশালের শুরুটা ছিল হতাশাজনক। এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। রংপুরের বোলাররা দুর্দান্ত পারফর্মেন্সে বরিশালের ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে ফেলে দেয়। বরিশাল দলের ওপেনার নাজমুল হাসান শান্ত মাত্র ১০ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। তার পরে তিন নম্বরে নামা তাওহীদ হৃদয়ও সুবিধা করতে পারেননি, মাত্র ৬ বলে ৪ রান করে ফিরে যান।
বরিশাল দলের জন্য একটি শক্তিশালী ইনিংস দরকার ছিল, কিন্তু তারা নির্ধারিত সময়ে শেষ পর্যন্ত ১২৫ রানের সহজ লক্ষ্য দাঁড় করায় রংপুর রাইডার্সের সামনে।
তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তোলার চেষ্টা করতে থাকেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৮ বলে ২৮ রান করে নাহিদের বলে বোল্ড আউট হন তিনি। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম এবং কাইল মায়ার্স।
১৭ বলে ১৫ রান করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মুশফিক, আর ১৩ বলে ১৪ রান করে ক্যাচ আউট হন মায়ার্স। এরপর ৩ বলে ১ রান করে ফাহিম আশরাফ আউট হলে দলীয় ৮০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বরিশাল।
এদিন বরিশালকে বিপদ থেকে রক্ষ করতে পারেনি অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। ৮ বলে ১০ রান করে খুশদিল শাহ বলে প্লে-ডাউন হন তিনি। ১৬তম ওভারে ১০০ রানের কোটা পার বরিশাল।
শাহিন শাহ আফ্রিদি (৮), তানভীর ইসলাম ৬ রানে আউট হলে রান তোলার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নবি। ১৯তম ওভারে দ্বিতীয় বলে এই আফগান তারকা আউট হলে ১০ বল হাতে থাকতেই ১২৪ রানে অলআউট হয় বরিশাল। ১৯ বলে ২১ রান করেন নবি।
রংপুর রাইডার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন খুশদিল শাহ। ইফতেখার আহমেদ ও নাহিদ রানা দুটি করে উইকেট নেন। এ ছাড়াও শেখ মাহেদী ও আকিভ জাভেদ একটি করে উইকেট নেন।