গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবার দ্বাদশ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে ৬২ হাজার ৯৩৪ জন ভোটার বেড়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশরাই তরুণ-তরুণী ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিলো- ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪২ টি। এবার দ্বাদশ নির্বাচনে সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে ভোটার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৬। এই আসনে বৃদ্ধি হয়েছে পুরুষ ৩২ হাজার ৮৪, নারী ৩০ হাজার ৯৪৩ ও তৃতীয় লিঙ্গের ৭ জন ভোটার।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিলের কার্যবিধি অনুযায়ী ইতোমধ্যে ওইসব আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী প্রতীক পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- উম্মে কুলসুম স্মৃতি (নৌকা), মইনুর রাব্বী চৌধুরী (লাঙ্গল), সাহারিয়া খাঁন বিপ্লব (ট্রাক), এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি (মশাল) আজিজার রহমান (ঢেঁকি), মনজুরুল হক (নঙ্গর), জাহাঙ্গীর আলম সরকার (আম), মফিজুল হক সরকার (ঈগল পাখি), মোস্তফা মনিরুজ্জামান (গামছা) ও মাহমুদুল হক (হাতঘড়ি)।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা পোস্টার সাঁটানো সহ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় ভোটের মাঠে নেমেছেন। এবার নৌকার প্রার্থীকে ঠেকাতে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী সাহারিয়া খাঁন বিপ্লবের ট্রাক প্রতীকে সারা ফেলতে শুরু করেছে বলে সাদুল্লাপুরের সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন অপরদিকে পলাশবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল হক সরকার (ঈগল পাখি) সারা ফেলেছে বলে দেখা যায়।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল মোত্তালিব বলেন, ৩১, গাইবান্ধা-৩ আসনটি সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৮৭৬ ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩২ হাজার ৪৫০, নারী ২ লাখ ৮১ হাজার ৯২৬ ও তৃতীয় লিঙ্গের ৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে সকল প্রস্ততি নিচ্ছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।