1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:১১ পূর্বাহ্ন
২রা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
১৬ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনামঃ
সাদুল্লাপুরে আওয়ামী লীগ নেতা বিপ্লব গ্রেফতার পলাশবাড়ীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন পলাশবাড়ী উপজেলা ও পৌর জাসাস-এর ইফতার মহাফিল গাইবান্ধায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে গাইবান্ধায় আলোচনা সভা গাইবান্ধায় অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী সৈনিক সংস্থার ইফতার সম্মেলন ও দো’আ মাহফিল সাঁওতাল হত্যা ও নির্যাতনকারীদের বিচার, ক্ষতিপূরণ দাবি গণঅভ্যুত্থানের গাইবান্ধার তিন শহীদ পরিবারে পাশে এনসিপি পলাশবাড়ীতে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা পলাশবাড়ী‌তে পূর্বশত্রুতার জে‌রে পুকুরে বিষ প্রয়োগ ক‌রে দুই লাখ টাকার মাছ নিধন

সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে অনিয়মের সত্যতা পায়নি পিবিআই

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এ নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দে ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ সাত জনের বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগের সত্যতা পায়নি মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। পিবিআইয়ের দেওয়া প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাঈদ খোকনের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার (১৭ ম) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট  রাজেশ চৌধুরী তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সাঈদ খোকনসহ সাতজনের মামলা খারিজ করে দেন।

এর আগে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এ মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গত ৮ এপ্রিল ঘটনার সত্যতা না পাওয়ায় সাঈদ খোকনসহ সাত জনকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক এ জেড এম মনিরুজ্জামান।

মামলার অপর আসামিরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, জনৈক কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান ও ওয়ালিদ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি সাঈদ খোকন, ইউসুফ আলী সরদার ও মাজেদ পরস্পর যোগসাজশে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২-এর মূলভবনের নকশাবহির্ভূত অংশে স্থাপনা তৈরি করে এবং দোকান বরাদ্দের ঘোষণা দেন। ঘোষণা শুনে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান বরাদ্দ নেওয়ার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর ব্যবসায়ীরা আসামি কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদের কাছে যান। তারা বলেন, ‘আপনারা টাকা জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। আমরা আপনাদের দোকান বরাদ্দ দিয়ে দেবো।’ এবং ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর মূল মার্কেটে যাদের নামে দোকান বরাদ্দ রয়েছে, তাদেরকে আসামি কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভুল বুঝিয়ে এ মার্কেটে দোকান বরাদ্দ নিতে বাধ্য করেন। আসামি সাঈদ খোকন ও মাজেদসহ অন্যরা মিলে প্রতারণা করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন এবং ব্যবসায়ীদের নকশাবহির্ভূত দোকান বরাদ্দ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, দোকান বরাদ্দের অনৈতিক আইনবহির্ভূত বিষয় জেনে মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন দুলু আসামিদের দোকান বরাদ্দের প্রক্রিয়া বন্ধ এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে কোটি কোটি টাকা লেনদেনে বাধা প্রদান করেন। এরপর আসামিরা দেলোয়ারকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেন। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট আসামি ইউসুফ আলী সরদার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ বাদী দেলোয়ারকে বনানীতে ডেকে বলেন, ‘তুই ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২, এর এক্সটেনশন ব্লক- এ,বি,সি-এর দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে বাধা প্রদান করার প্রক্রিয়া বন্ধ কর, নইলে খুব খারাপ হবে।’

তবে তিনি নিজের ও পরিবারের কথা চিন্তা করে তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে সাহস পাননি। আসামি সাঈদ খোকন, ইউসুফ আলী সরদার ও মাজেদের নির্দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আসামি কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ দোকান বরাদ্দের কথা বলে বিনা রশিদে কোটি কোটি টাকা গ্রহণ করেন।

সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিনা রশিদে বা কোনও প্রকার ডকুমেন্টস ব্যতীত আসামিদের কাছে বরাদ্দের বিষয়ে টাকা জমা দিয়ে, প্রতারণার ভয়ে ভীত হয়ে মামলার বাদী দেলোয়ারের কাছে পরামর্শের জন্য আসেন। তখন তিনি তাদের বলেন যে, যেহেতু আপনারা অনেকগুলো টাকা ইতোমধ্যে বিনা রশিদে নগদ প্রদান করেছেন এবং ভবিষ্যতেও টাকা জমা দেবেন, সেহেতু আইনগত প্রমাণ রাখতে তার (সাঈদ খোকন) প্রতিষ্ঠানের নামে ফুলবাড়িয়া উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে টাকা জমার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ভুক্তভোগীরা আসামি সাঈদ খোকনের অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সময় ৩৪ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ টাকা জমা দেন।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের এখতিয়ারাধীন এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর এক্সটেনশন ব্লক এ,বি,সি এর স্থাপনা ভেঙে উচ্ছেদ করা হয়। এই উচ্ছেদের বিষয়ে বাদী দেলোয়ারসহ অপর ব্যবসায়ীরা জানতে পারেন যে, সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনসহ অন্য আসামিরা ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেট-২ এর এক্সটেনশন ব্লক এ,বি,সি এর মূলভবনের নকশাবহির্ভূত এবং অবৈধ উপায়ে অনৈতিকভাবে অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেন।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft