
শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় সাড়ে ৬ টায় বিনোদপুর বাজার এলাকায় এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে। এতে কমপক্ষে ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মাথা, হাত ও পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতাবস্থায় আরও শিক্ষার্থী মেডিকেল সেন্টারে আসছে। আর গুরুতর আহতাবস্থায় ১০ শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এদিকে বিনোদপুর গেটে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়ছেন শত শত স্থানীয়। তাদের ছোঁড়া ইটের অনেক শিক্ষার্থী আঘাত পেয়েছেন।
এর আগে বিনোদপুরে মেসে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের আক্রমণের শিকার হন ৭ থেকে ৮ জন শিক্ষার্থী। এ সময় সাংবাদিকের উপরও হামলা করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত এক শিক্ষার্থী আকাশ জানান, আমি রাস্তার উপরে ছিলাম। হঠাৎ স্থানীয়রা আমার আক্রমণ করেন। তারা আমাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকেন।
আরেক আহত শিক্ষার্থী বলেন, মারামারির ঘটনা শুনে গেটের দিকে গেছিলাম, তখন বাহির থেকে ছোঁড়া ইটের আঘাতে আমার মাথা ফেটে যায়।
জানা গেছে, বগুড়া থেকে মোহাম্মদ বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির ড্রাইভার শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আকাশের। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট এসে কন্টাক্টারের সঙ্গে ফের ঝামেলা বাধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়র মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড় হন এবং স্থানীয় দোকানদারে উপর চড়াও হন।
একপর্যায়ে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া করেন। এ সময় দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের উপর হামলা চালায় স্থানীয়রা।
এই ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে। র্যাবও এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।