মাশরাফি বিন মুর্তজা পাঁচ বছর আগেই টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন। এ বছর তাঁর পথে হেঁটেছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এই সংস্করণ আরও দুই বছর চালিয়ে যেতে চাইলেও ছন্দহীনতায় জায়গা হয়নি নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ দলে।
দেশের ক্রিকেটের ‘পঞ্চপাণ্ডব’ নামে পরিচিতদের শুধু একজন আছেন দলে। তিনি সাকিব আল হাসান। প্রায় কাছাকাছি সময়ে একাধিক অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের অবসর ও বাদ পড়ায় একটি অধ্যায় প্রায় সমাপ্তির পথে।ভ্রমণ-জটিলতায় নিউজিল্যান্ডে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ও ধকল কাটিয়ে উঠতে না পারায় আজ তো পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেননি সাকিবও। নিয়মিত অধিনায়ককে ছাড়া খেলতে নামা বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে আরেকটি হার।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে অভিজ্ঞদের চেয়ে তারুণ্যের কদরই বেশি। অথচ আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দশ ব্যাটারের ৭ জনেরই বয়স ৩০ বছরের বেশি! নতুনদের সুযোগ করে দিয়েও কাঙ্ক্ষিত ফল না আসায় কিছুটা হতাশ তামিম। বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়রদের উপযুক্ত সময়ে বাদ না দেওয়া নিয়েও।
আজ রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে একটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যদূত হওয়ার আয়োজনে এসে তামিম বলেছেন, ‘এখন যে দলটা খেলছে, কয়েকজন বাদে বাকিরা নতুন। তাদের সময় দিতে হবে। আমি আগেও বলেছি মুশফিক, রিয়াদ বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে যদি থাকত, আমার ভালো লাগত। কারণ, যখন আপনি পুরো বছর এত সিনিয়র ক্রিকেটারকে বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছেন, তাহলে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে বাদ দিলেন কেন? বছরের শুরুতে হলে ঠিক ছিল। কারণ, এ বিশ্বকাপের পরই কিন্তু আপনার হাতে ২ বছর সময় আছে নতুনদের পরখ করে দেখার।’ ইনিংসের মাঝপথে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। তবে ইয়াসির আলী রাব্বি শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন। তাঁর ঝোড়ো ইনিংসের স্তুতি গেয়েছেন তামিম, ‘যারা ওদের (মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ) জায়গা খেলছে, যেমন—ইয়াসির রাব্বি। ওর ইনিংসটাকে অনেক উঁচুতে রাখব। আফিফও অসাধারণ খেলছে।’