বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার পাট, আউশ, ভুট্টা ও সবজি ফসল এবং গোচারণ ভূমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। যমুনা নদীর চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যা কবলিত এলাকার ৫৬ হাজার ৭২০ জন মানুষ এবং লক্ষাধীক গবাদিপশু পানি বন্দি হয়ে আছে। উপজেলায় ৩১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠ দান স্থগিত করা হয়েছে। ২ হাজার ৪শ ৬৯ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ৬৪ সেঃ মিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। সারিয়াকান্দিতে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বন্যা দুর্গত মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করলেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো ঃ জিয়াউল হক। বিকেল ৫টায় চন্দনবাইশাা ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামে শেখপাড়ায় বন্যা দুর্গতদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে তিনি চাল, ডাল, তেল, চিড়া, গুড়, মোমবাতি, ম্যাচ লাইট,ওর স্যালাইন ও পানির বোতল বিতরণ করনে। এছাড়াও তিনি সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চরবাটিয়া গ্রামে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। পৃথক পৃথক ভাবে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ কালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রেজাউল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক দুলু পৌর মেয়র মতিউর রহমান মতি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সাইফুল ইসলাম চন্দনবাইশা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুননবী হিরো, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাফী মন্ডল প্রমুখ।