গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় রাতের আঁধারে মাহফুজ ও তার সহযোগীদের সন্ত্রাসী হামলায় নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহরিয়ার রাসেল ও তার বড় ভাই অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবিনিউজের সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম শাহিন গুরুতর আহত হন। ওইদিন রাতেই স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে দ্রুত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়।
কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে তারা বাড়িতে ফিরে আসেন। গতকাল সোমবার বিকালে আহতদের দেখতে যান গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ উম্মে কুলসুম স্মৃতি। এ সময় তিনি আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। তিনি ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দুঃখ প্রকাশ করেন। এছাড়া তিনি এ ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত দুর্বৃত্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি আহবান জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নলডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডঃ আনোয়ারুল আজিম, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আব্দুল জলিল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সহিদুল্ল্যাহেল কবির ফারুক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পদক শাহ ফজলুল হক রানা আহত যুলীগ নেতা রাসেল ও সাংবাদিক শাহিন উপজেলার নলডাঙ্গা উত্তর কাটা প্রতাপ গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মৃত আব্দুল জলিল সরকারের ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে রাতে উপজেলার নলডাঙ্গা গার্লস হাইস্কুল মোড়ে যুবলীগ নেতা রাসেল ও তার বড় ভাই সাংবাদিক শাহিনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাবে ছুরিকাঘাত করে নলডাঙ্গা-সাদুল্লাপুর পাকা রাস্তার ওপর রক্তাত্ত অবস্থায় তাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসী মাহফুজ ও তার সহযোগীরা। এ ব্যাপারে হামলার শিকার শাহরিয়ার ইসলাম রাসেল বাদী হয়ে সন্ত্রাসী মাহফুজের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামি করে সাদুল্লাপুর থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় একটি মামলা রুজু করেন। সাদুল্লাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)প্রদীপ কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলার প্রধান আসামি মাহফুজকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া ঘটনার রহস্য উদঘাটনে অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে।