চূড়ান্ত পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনসহ তিন দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (১৩ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের সামনে অবস্থান করেন তারা। এ সময় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘তিন দফা দাবি মানতে হবে, সাত কলেজের দাবি মানতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো- প্রশ্নের মানবণ্টন পরিবর্তন করে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার পরিবর্তে ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া এবং ২০ নম্বরের ইনকোর্স পরীক্ষা গ্রহণ। এছাড়াও করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণের বিশেষ সুযোগ দেওয়া এবং সামনের পরীক্ষাগুলোতে পরীক্ষার খাতা যথাযথ মূল্যায়ন করা।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণের জন্য সর্বনিম্ন জিপিএ ২ পেতে হবে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা এই মানদণ্ডে উন্নীত হতে পারেননি৷ ফলে এসব শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বর্ষে উত্তীর্ণের সুযোগ পাননি৷শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করে তাদের (ঢাবির) নিয়ম চালু করার ফলে শিক্ষার্থীদের এই বিড়াম্বনায় পড়তে হয়েছে৷ এছাড়া কয়েকটি বিষয়ে গণহারে ফেলের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফাহাদ হোসেন বলেন, আমাদের প্রশ্নের মানবণ্টন অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে মিল নেই। আমাদের ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। আমরা শুরু থেকেই বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি। ফলে দর্শন বিভাগে অন্যান্য বিভাগের তুলনায় ফেলের হার বেশি।
রবিউল হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিগত বছরের মতো এই বছরেও ফল আশানুরূপ হয়নি। আমরা ৪ ঘণ্টার পরীক্ষা ২ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ৮০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়েছি। করােনায় দীর্ঘ বন্ধের কারণে আমরা ইতোমধ্যেই ৩ বছর অতিক্রম করে ফেলেছি। এমতাবস্থায় একই বর্ষে আবারও থাকা আমাদের জন্য্য ক্ষতির কারণ। আমাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও হতাশায় রয়েছি।শিক্ষার্থীদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সাহিনা আক্তার বানু বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছি। গত ৯ মার্চ সাতটি কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা এ বিষয়ে বৈঠক করেছি।তিনি বলেন, আমরা দ্রুতই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালের সঙ্গে বৈঠক করব। সেখানে আমরা পাঁচটি বিষয়ে সুপারিশ করব। এছাড়াও সুপারিশের পাঁচটি বিষয় সাত কলেজের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের পরামর্শক্রমেই ঠিক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।