কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আঙ্গাউড়া পশ্চিম পাড়ার এক স্কুলছাত্রীর সাথে ফেসবুকে ইঞ্জিবিয়ার পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেন নোয়াখালীর বেগম গঞ্জ উপজেলার একলাশপুর গ্রামের বাসিন্দা দোকান কর্মচারী আরিফুল ইসলাম ইমন।বিয়ের পরে ওই তরুণী ইমনের বাড়ি যাওয়ার পর দেখেন পুরোটা উল্টো। পরে প্রতারিত হয়ে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেন বলে তার পরিবারের দাবি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপপরিদর্শক(এস আই) সৈয়দ ফারুক আঙ্গাউড়া থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেন।নিহত স্কুল ছাত্রী এ বছর গৌরীপুর সুবল আফতাব উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন ।
নিহতের মামা বলেন, আমার ভাগনি এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষার শেষদিন বাড়িতে না আসায় মোবাইলে ফোন করলে জানায় সে নোয়াখালীতে। এরপর তার মোবাইল বন্ধ পাই। পরে ফেসবুকে তার সঙ্গে একটি ছেলের ছবি দেখে তার পরিচয় খুঁজে বের করি। ছেলেটি নাম ইমন, তার বাড়ি নোয়াখালী। পরদিন আমি নোয়াখালী গিয়ে অনেক চেষ্টার পর ছেলেটির সঙ্গে দেখা করি।পরে আমার ভাগনির সঙ্গে দেখা হলে সে আমার সঙ্গে চলে আসবে বলে জানায়। তখন আমি আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেয়ার কথা বলে ইমনের দুই আত্মীয়কে সঙ্গে করে ওই দিনই ভাগনিকে নিয়ে আমরা বাড়িতে (গৌরীপুরে) চলে আসি। পরে জানতে পারি, ইমন ইঞ্জিনিয়ার, ৫০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে, এই বলে প্রতারণা করে গত ৯ অক্টোবর কোর্টে অ্যাফিডেভিট করে আমার ভাগনিকে বিয়ে করে। এরপর ইমন আমার ভাগনির সঙ্গে ওঠানো কিছু উল্টো পাল্টা ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এগুলো দেখে ভাগনি আমাকে জানালে আমি ইমনের কাছে জানতে চাইলে সে বলে, এটা আমাদের স্বামী স্ত্রীর ব্যাপার।
এ নিয়ে গত দুই দিন যাবৎ আমার ভাগনি জান্নাতুল মাওয়া ঘরে দরজা বন্ধ করে একা থাকত। শুক্রবার বিকেলে ডাকাডাকির পর দরজা খুলছে না। পরে জানালা দিয়ে দেখা যায় জান্নাতুল মাওয়া ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে।গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এস আই) সৈয়দ ফারুক বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।