জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী খন্দকার মোশতাকের বাড়ি দাউদকান্দি থেকে উচ্ছেদ, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও অবস্থান ধর্মঘট পালিত হয়েছে।আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় খন্কার মোশতাকের বাড়ীর সামনে দশপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী কুমিল্লা উত্তর জেলার ব্যানারে স্থানীয় আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
বিশৃঙ্খলা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হলেও বিক্ষুব্দরা মোশতাকের বাড়িটিতে ইট পাটকেল ছুড়ে এবং দরজা জানালা ভাংচুর করে। পরে নেতৃবৃন্দ মাঠে মোশতাকের প্রতিকৃতিতে জুতা ও থুথু নিক্ষেপ এবং কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে ঘৃনা জানান।
অবিলম্বে দাউদকান্দি তথা কুমিল্লার মাটি থেকে খুনি মোস্তাকের বাড়ি ও কবর অপসারণ এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের দাবি জানিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন বলেন, কুলাঙ্গার খুনি মোশতাকের মতো এতো বড় বেইমান ও বিশ্বাশ সঘাতক আছে বলে আমার জানা নেই। তাই খুনি মোশতাকের কলঙ্কভার আমরা আর বহন করতে চাইনা। এ কারণে আমরা কুমিল্লার নামে বিভাগও পাচ্ছিনা। তাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল হোতা খুনি মোশতাকের দাউদকান্দির সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি জানাচ্ছি এবং আমরা এ লজ্জা থেকে দাউদকান্দি তথা কুমিল্লাবাসী পরিত্রাণ চাই।এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বাসুদেব ঘোষ, দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডাভোকেট আহসান হাবিব চৌধুরী লিল মিয়া, দাউদকান্দি পৌরসভার মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন, মেঘনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের আহবায়ক বাহাউদ্দিন বাহার, যুগ্ম আহবায়ক সারোয়ার হোসেন বাবু, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আবু কাউসার অনিক, সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) গাজী, দাউদকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তারিকুল ইসলাম নয়ন, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি রকিব উদ্দীন রকিব, যুবলীগের আহবায়ক আনোয়ার হোসেনসহ দাউদকান্দি ও মেঘনার আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। খুনি মোস্তাকের অপকর্মের দায় দাউদকান্দিসহ কুমিল্লার সাধারণ মানুষ নিবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, হামলার খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।