বৈশ্বিক মহামারির কারণে এবারও সীমিত পরিসরে হজ পালিত হবে। আজ মিনার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন হজযাত্রীরা। আগামীকাল রোববার (১৮ জুলাই) সারাদিন সেখানে কাটাবেন তারা। আজ শনিবার (১৭ জুলাই) হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে ।
সোমবার (১৯ জুলাই) ফজরের নামাজের রওয়ানা হবেন ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে। সেখানে অবস্থান করবেন সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
আরাফার দিনটিকেই মূলত হজ বলা হয়। এদিন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেবেন, কাবার ইমাম ও খতিব শায়খ ড. বানদার বালিলাহ। বাংলাসহ ৯টি ভাষায় অনুবাদ করে প্রচার করা হবে এটি।
পরদিন মঙ্গলবার (২০ জুলাই) পশু কোরবানি করবেন হাজিরা।
বৈশ্বিক মহামারির কারণে এবারও সীমিত পরিসরে হজ পালিত হবে। এছাড়া বহির্বিশ্বের কেউ সুযোগ না পেলেও, সৌদিতে থাকা ১৫০ দেশের নাগরিকসহ অংশ নিচ্ছেন ৬০ হাজার জন।
গত বছর মাত্র ১০০০ ব্যক্তি হজ পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন। অথচ স্বাভাবিক সময়ে প্রতি বছর প্রায় বিশ লাখ মুসলিম হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে সমবেত হতো। এবার হজ পালনের বিষয়ে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি হবে বলে আশা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু হঠাৎ করেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সৌদি আরবেও নানা ধরণের বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে গতবছর ৬১ হাজার মানুষের নিবন্ধন রয়েছে। তাই এই বছর নিবন্ধন বন্ধ রেখেছে সরকার। কোটা অনুযায়ী স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এক লক্ষ ৩৭ হাজার বাংলাদেশী হজে যেতে পারার কথা।