করোনা ভাইরাসের টিকা আসার আগেই প্রায় ২০ লাখ মানুষ করোনায় মারা যাবে বলে সতর্ক বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরই মধ্যে উত্তর গোলার্ধের বহু দেশে শীতের আগমনে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের দেশ যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ব্রাজিল।
এই সংস্থার জরুরি বিভাগের প্রধান ড. মাইক রায়ান বলেছেন, আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছেন। সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সারাবিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৩ কোটি ২০ লাখ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
করোনার টিকা আসার আগে সারাবিশ্বে ২০ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা সম্পর্কে ড. রায়ানকে প্রশ্ব করা হলে জবাবে তিনি বলেন, এটা হওয়া অসম্ভব নয়। অর্থাৎ সারাবিশ্বে ২০ লাখ মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই রোগের চিকিৎসা উন্নত হচ্ছে। ফলে মৃত্যুহার কমে যাচ্ছে। কিন্তু মৃতের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উন্নত চিকিৎসা এবং কার্যকর টিকাই যথেষ্ট নয়। তিনি প্রশ্ন রাখেন, এই সংখ্যায় যাতে মৃতের সংখ্যা না পৌঁছাতে পারে তার জন্য কি আমরা প্রস্তুত?
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ব্রাজিলের মত দেশগুলোতে ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটি ৫০ লাখের বেশি।
কয়েকদিনে ইউরোপজুড়ে এই সংক্রমণ নতুন করে দেখা দিয়েছে। ফলে সেখানে বিভিন্ন দেশে নতুন করে লকডাউন দেয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় যখন করোনা মহমারিতে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছিল, এবারও প্রায় একই রকম ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ওইসব দেশে।
ইউরোপ প্রসঙ্গে ড. রায়ান বলেন, ওই বিশাল অঞ্চলে সার্বিকভাবে আমরা উদ্বেগজনকভাবে এই রোগের বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি। লকডাউন এড়ানোর মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিজেদেরকেই প্রশ্ন করতে ইউরোপিয়ানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ড. রায়ান। যেমন পরীক্ষা, শনাক্তকর, কোয়ারেন্টিন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার রীতি বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা। তিনি বলেন, লকডাউন হলো সবশেষ পদক্ষেপ।