খুলনায় ‘অতিরিক্ত মদ্যপানে’ নারীসহ আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মদ্যপানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৮ জনে।
আজ বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে ওই তিনজনের মৃত্যু হয়।
নিহত তিনজন হলেন- রায়পাড়া ক্রস রোডের বিমল শীলের ছেলে অমিত শীল (২২), নির্মল দাসের ছেলে দীপ্ত দাস (২২) ও সুকুমার বিশ্বাসের মেয়ে ইন্দ্রানী বিশ্বাস (২৮)।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের চিকিৎসক খালেদ মাহমুদ অমিত শীলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইন্দ্রানী ও দীপ্তকে গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এ দু’জনের মৃত্যু খবর রূপসার আইচগাতী ক্যাম্প উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ও ‘অতিরিক্ত মদ্যপানে’২ ভাইসহ ৫ জনের মৃত্যু হয়।
নিহত পাঁচজন হলেন- নগরীর গল্লামারী এলাকার নরেন্দ্র দাসের ছেলে প্রসেনজিৎ দাস (২৯), তাপস (৩২), ভৈরব টাওয়ার এলাকার মানিক বিশ্বাসের ছেলে রাজু বিশ্বাস (২৫), রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকার পরিমল ও নগরীর গ্যালাক্সির মোড় এলাকার প্রদীপ শীলের ছেলে সুজন শীল (২৬)।
খুমেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আলমগীর ও ডা. ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হতাহতরা দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীতে আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে মদ পান করেছিলেন। অতিরিক্ত মদ্যপানে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে খুলনার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আবদুর রাজ্জাক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা খুমেক হাসপাতালে ছুটে যান। তারা মৃতদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন খোঁজখবর ও তথ্য নেন।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম আবদুর রাজ্জাক জানান, অতিরিক্ত মদপানে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান জানান, যারা মারা গেছেন তাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, তারা বিদেশি মদ পান করেছিলেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে যে, তারা অতিরিক্ত মদ পান করে ছিল কিনা বা মদের মধ্যে বিষাক্ত কিছু ছিল কিনা। মদের উৎস সন্ধান এবং বিক্রেতাদের আটকের চেষ্টা চলছে।