সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হকের বাসার সামনে ছাত্রদলের দুইপক্ষে গোলাগুলিতে সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক ফয়জুর রহমান রাজু ওরফে ফয়জুল হক রাজু নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
পুনঃনির্বাচিত সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিজয় মিছিল শেষে ফেরার সময় নিজ দলের ক্যাডারদের হামলায় নিহত হন রাজু। শনিবার রাত ৯টার দিকে আরিফুল হক চৌধুরীর বাসার পাশে কুমারপাড়া পয়েন্ট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ খুনের পেছনে সিটি নির্বাচনের আগে গঠন হওয়া সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটিকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। কমিটি গঠনের পরে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায় সিলেট ছাত্রদল। এক গ্রুপ কমিটির পক্ষে আরেক গ্রুপ বিপক্ষে। নির্বাচনের পূর্বে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এমনকি ছোটখাট সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
অপরদিকে হামলাকারীরা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রকিব চৌধুরীর সমর্থক বলে দাবী খুন হওয়া রাজুর সহকর্মীদের। আব্দুর রকিব ও তার কর্মীরা নবগঠিত ছাত্রদলের কমিটির পক্ষে ছিলেন।
এদিকে সিলেট সিটির পুনঃনির্বাচিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিজয় মিছিল শেষে ফেরার সময় হামলায় নিহত সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক ফয়জুল হক রাজুর উপর হামলাকারী খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন মেয়র আরিফ।
এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে আরিফ বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে বাসায় ফেরার পথে তার গাড়িবহরের সাথে মোটরসাইকেলে ছিল রাজু। বাসায় পৌঁছে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মো. শাহজাহানের সাথে দেখা করতে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পর তার বাসা থেকে বের হয় রাজু। বাসা থেকে বরে হয়ে গলির মুখে আসামাত্র তার উপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনা শুনে ওসমানী মেডিকেলে ছুটে যান আরিফ। সেখানে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন- হামলাকারীরা সন্ত্রাসী। এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
একই সাথে এদের যদি কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকে তবে তাদেও বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবী জানান তিনি।