ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঈমানকে বিপদগামী করতে শয়তান প্রতিনিয়ত মানুষের পিছু নিয়ে থাকে। তবে শয়তানের প্রভাব থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন তার উপায় মহান আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কোরআনে বলে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তায়ালার বাণীকে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) উম্মতদের জন্য ব্যাখ্যার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তিন ধরনের জিন রয়েছে, একদল যারা সর্বদা আকাশে উড়ে বেড়ায়, আরেক দল যারা সাপ ও কুকুরের আকার ধারণ করে থাকে এবং তৃতীয় দল পৃথিবীবাসী যারা কোনো এক স্থানে বাস করে বা ঘুরে বেড়ায় (বায়হাকি ও তাবরানী)।
শয়তানের হাতে মুক্তি পেতে হলে কিংবা তাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইলে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। আল্লাহর নির্দেশ- তোমরা জিহাদ কর শয়তানের পক্ষ অবলম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল (নিসা ৭৬)।
রাসূল (সা.) বলেছেন, তোমাদের ঘরগুলোকে কবরে পরিণত কর না। যে ঘরে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় সে ঘর থেকে শয়তান পালিয়ে যায় (সহিহ মুসলিম-৭৮০)।
সূরা নাসে কুমন্ত্রণার ব্যাপারে আরও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে- এই কুমন্ত্রণাদাতা হতে পারে মানুষরূপী শয়তান, যাদের চোখে দেখা যায় অথবা অদৃশ্য অশুভ শক্তি যেমন জিন যারা অন্তরের ভেতর থেকে কুমন্ত্রণা দান করে।
হাদিসে বর্ণিত আছে, একজন সন্তান জন্ম নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে শয়তান সেখানে উপস্থিত হয়। শয়তান তাকে স্পর্শ করায় সে কেঁদে ওঠে। এই শয়তান মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অবস্থান করে। তাই শয়তান আদম সন্তানের আজন্ম শত্রু“। শয়তানের কবল থেকে মুক্ত থাকতে হলে কোরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে জীবন গড়তে হবে। আল্লাহ আমাদের শয়তানের অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণ লাভের তাওফিক দিন- আমিন।
তাছাড়া শয়তানকে তাড়িয়ে দেওয়ার সর্বোত্তাম মাধ্যম হচ্ছে সকাল বিকালের যিক্রসমূহ, ঘুমের যিক্র, জাগ্রত হওয়ার যিক্র, ঘরে প্রবেশের ও ঘর থেকে বের হওয়ার যিক্রসমূহ, মসজিদে প্রবেশের ও মসজিদ থেকে বের হওয়ার যিক্রসমূহ, ইত্যাদী শরী‘আতসম্মত যিক্রসমূহ। যেমন, ঘুমের সময় আয়াতুল কুরসী, সূরা আল-বাকারার সর্বশেষ দু’টি আয়াত।