পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ আজ। এ রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মাদ সা: প্রথমে কাবা থেকে জেরুসালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখানে তিনি হজরত আদম (আ:) থেকে শুরু করে হজরত ঈসা (আ:)সহ সব নবী ও রাসূলকে নিয়ে একটি জামাতে ইমামতি করেন। অতঃপর তিনি বিশেষ বাহন বোরাকে চড়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন।
ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহর ‘দিদার’ লাভ করেন। এ সফরে ফেরেশতা জিবরাইল (আ:) তার সফরসঙ্গী ছিলেন। পবিত্র কুরআনের ১৭ নম্বর সূরা বনি ইসরাইলের শুরুতেই এ বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় মুসলিম জাহানের সাথে এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও আজ কুরআনখানি, নফল সালাত, জিকির আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দরুদ পাঠ ও বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করবেন।
মেরাজ শব্দটি আরবি, যার অর্থ ঊর্ধ্বারোহণ। পারিভাষিক অর্থে নবুওয়াতের একাদশ সালের ২৭ রজবের বিশেষ রাতের শেষ প্রহরে হজরত মুহাম্মাদ (সা:) হজরত জিব্রাঈল (আ:)-এর সাথে আল্লাহর নির্দেশে তার খাস রহমতে বায়তুল্লাহ থকে বায়তুল মুকাদ্দাস পর্যন্ত ‘বোরাকে’ ভ্রমণ, অতঃপর সেখান থেকে বিশেষ বাহনের মাধ্যমে সপ্ত আসমান পেরিয়ে আরশে আল্লাহর সান্নিধ্যে গমন ও আবার বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে বোরাকে আরোহণ করে প্রভাতের আগেই মক্কায় নিজ গৃহে প্রত্যাবর্তনের ঘটনাকে মেরাজ বলা হয়।
এ রাত্রিতে উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়। ফলে এটা খুবই ফজিলতের রাত্রি। লাইলাতুল মেরাজ উপলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে।