শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী ফয়জুর রহমান ফয়জুলের বাবা-মা থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
রবিবার (৪ মার্চ) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় তারা আত্মসমর্পণ করেন।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাব জানান, ফয়জুরের বাবা আতিকুর রহমান ও মা মিনারা বেগম থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
জানা গেছে, শাবি ক্যাম্পাস থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ছয় নম্বর টুকেরবাজার ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে ফয়জুলদের বাড়ি। জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করার পর থেকেই ফয়জুলের পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে তালা মেরে পালিয়ে যান।
ফয়জুলের বাবা আতিকুর রহমান একটি মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ফয়জুলের মা মিনারা বেগম গৃহিনী। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নে।
১৫ বছর আগে তারা সিলেটের জালালাবাদ উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের শেখেরপাড়ায় জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছে।
শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শাবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান চলাকালে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে পেছন থেকে মাথায় ছুরিকাঘাত করে ফয়জুল। এরপর জাফর ইকবালকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ফয়জুলকে আটক করে মারধর করে শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়। রবিবার তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।
জাফর ইকবালকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর রাতেই ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। রাত ১১টা ৫৮ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
রবিবার সকালে জাফর ইকবালের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান কনসালটেন্ট সার্জন বাংলাদেশ আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের মেজর জেনারেল মুন্সি মুজিবর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, জাফর ইকবালের মাথায় চারটি, পিঠে ও বাম হাতে একটি আঘাত লেগেছে। তবে, তিনি আশঙ্কামুক্ত ও স্বাভাবিক রয়েছেন।