গাইবান্ধার সন্তান প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী শাহ মাইনুল ইসলাম শিল্পুর ‘ত্রয়াঙ্গিক বিন্যাস’ শীর্ষক চতুর্থ একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে আজ সোমবার । গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরীতে বিকেল ৪টায় ৭ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এম.পি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান মিয়া, পৌর মেয়র এ্যাড. শাহ্ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, চিত্রশিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মইনুদ্দিন লিটন ভূঁইয়া ও চিত্রশিল্পী এবং সমাজকর্মী শিশির মল্লিক। এতে সভাপতিত্ব করেন এসকেএস ফাউণ্ডেশনের হেড অব প্রোগ্রাম রজব আলী।
‘ত্রয়াঙ্গিক বিন্যাস’ শিল্পী শাহ মাইনুল ইসলাম শিল্পুর চতুর্থ্ একক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। এতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ক্যানভাস হিসেবে নিয়ে ডট কালি-কলম, জলরং এবং এ্যাক্রেলিক মাধ্যম ব্যবহার করে শিল্পীর আঁকা ৩৫টি চিত্রকর্ম স্থান পাচ্ছে। এরমধ্যে জলরং মাধ্যমে ‘বালাসী ঘাট’, ‘গোপালের ঘর’, ‘তৃষ্ণার্থ’, ‘ঐ দূর গ্রামে’, কালি-কলম ও ডট মাধ্যমে ‘অনির্বাণ তর্জনি’, ‘চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’, ‘ছন্দময়’ এবং এ্যাক্রিলিক মাধ্যমে ‘ প্রকৃতি ও ভালোবাসা’, ‘অপেক্ষা’, ‘কম্পজিশন’ ও ‘সূর্য ওঠার অপেক্ষায়’ ছবিগুলো দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে।
শিল্পী শাহ্ মাইনুল ইসলাম শিল্পু ‘ত্রয়াঙ্গিক বিন্যাস’ এ তিনটি মাধ্যমের সমন্বয় ও বিষয় নির্বাচনেও ভিন্নতর স্বাদ দানের চেষ্টা করা হয়েছে।
‘ত্রয়াঙ্গিক বিন্যাস’ শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিন বিকেলে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দু’শতাধিক ক্ষুদে আঁকিয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
এবারের প্রদর্শনীতে শিল্পীর ৩৫টি চিত্রকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। সোমবার (২৬ মার্চ) থেকে শুরু হয়ে প্রদর্শনী চলবে ১ এপ্রিল পর্যন্ত এবং প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে।
প্রসঙ্গত, শিল্পুর প্রথম একক জলরং চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে জাপানে এরপর গত ২ থেকে ১৪ মার্চ আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারীতে দ্বিতীয় এবং ১২ থেকে ২২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালরীতে তৃতীয় একক চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।