কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জলদস্যু মোকাররম হোসেন জাম্বু নিহত হয়েছেন। এসময় ৪৪টি অস্ত্র ও ১২১৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় সোনাদিয়ার পূর্বপাড়া এলাকায় বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় অন্য জলদস্যুরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
র্যাব ৭-এর কক্সবাজারের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. রুহুল আমিন জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া পূর্বপাড়া এলাকায় অভিযানে নামে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাহিনী প্রধান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু মোকাররম হোসেন জাম্বু ও তার বাহিনীর সদস্যরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। র্যাবের সদস্যরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এভাবে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় বন্দুক যুদ্ধ চলে। একপর্যায়ে জাম্বু বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে গেলে র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে বাহিনীর প্রধান মোকাররম হোসেন জাম্বুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় ৪৪টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও এক হাজার ২১৫টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
মেজর মো. রুহুল আমিন জানান, মোকারম হোসেন জাম্বুর বিরুদ্ধে সাগরে দস্যুতা, ডাকাতি, ধর্ষণসহ ১২টি মামলা রয়েছে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জলদস্যু।
এর আগে কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানকেতে মামলা সংক্রান্ত কাজে গেলে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
আহতরা হলেন, পুলিশের এসআই মেহেদী হাসান, কনস্টবল সোহেল ও পারভেজ।
এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫টি দেশিয় তৈরি বন্দুক ও ২০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী আনু মিয়া ও মোহাম্মদ আজিজ।
মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমারি দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।