1. arifcom24@gmail.com : Arif Uddin : Arif Uddin
  2. admin@khoborbari24.com : arifulweb :
  3. editor@khoborbari24.com : editor : Musfiqur Rahman
  4. hostinger@khoborbari24.com : Hostinger Transfer : Hostinger Transfer
  5. khoborbari@khoborbari24.com : Khoborbari : Khoborbari
  6. khobor@gmail.com : :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২রা জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
শিরোনামঃ
নারী খতনা রোধে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশিকা প্রণয়ন করেছে ডব্লিউএইচও রংপুরে ট্রাকের ধাক্কায় দাখিল পরীক্ষার্থী নিহত রংপুরের ৩টি নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে দেড় শতাধিক মামলা ২২ বছর ধরে বিচারের অপেক্ষায় দিনাজপুরে অনূর্র্ধ্ব-১৫ ফুটবল প্রশিক্ষণ শুরু মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান সাদুল্লাপুরে জিওবি খাতের আওতায় উঠান বৈঠক গাইবান্ধায় নাগরিক সমাজ সংগঠনগুলোর হাব গঠন গাইবান্ধায় এলজিইডি কার্যালয়ে দুদকের অভিযান ড.মাহমুদুর রহমানের নামে মিথ্যা মামলা করায় রংপুরে আমার দেশ পাঠক মেলার মানববন্ধন সাদুল্যাপুরে বিভিন্ন দল থেকে দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীর জামায়াতে যোগদান

হবিগঞ্জের আলোচিত চার শিশু হত্যায় তিনজনের ফাঁসি

  • আপডেট হয়েছে : বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০১৭
  • ১২ বার পড়া হয়েছে

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় আলোচিত চার শিশু হত্যা মামলার রায়ে তিনজনের ফাঁসি ও দুইজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া তিনজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

বুধবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন- হাবীবুর রহমান আরজু, উস্তার মিয়া ও রুবেল মিয়া। সাহেদ আহমদ এবং জুয়েল মিয়াকে ৭ বছর করে কারাদন্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। তবে মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন আব্দুল আলী বাগাল, বাবুল মিয়া এবং বিল্লাহ মিয়া। মামলার আসামি উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাহ পলাতক রয়েছেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কিশোর কুমার কর জানান, এর আগে মামলার যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান।

দেড় বছরেরও কম সময়ে এ মামলার সব প্রক্রিয়া শেষ হল জানিয়ে কিশোর কুমার বলেন, আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে পেরেছি।

গত বছরে ১২ ফেব্রুয়ারি বিকালে বাড়ির পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের আবদাল মিয়া তালুকদারের ছেলে মনির মিয়া (৭), ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১০)।

মনির সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে, তার দুই চাচাত ভাই শুভ ও তাজেল একই স্কুলে দ্বিতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। আর তাদের প্রতিবেশী ইসমাইল ছিল সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র।

নিখোঁজের পাঁচ দিন পর ইছাবিল থেকে তাদের বালিচাপা লাশ উদ্ধার হলে দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় বাহুবল থানায় নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মনির মিয়ার বাবা আবদাল মিয়া।

২০১৬ বছরের ২৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি মোক্তাদির হোসেন নয়জনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

পুলিশ গ্রেপ্তার করে গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী বাগাল ও তার দুই ছেলেসহ ছয়জনকে। এর মধ্যে আসামি বাচ্চু মিয়া র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যান।

কারাগারে ছিলেন আরজু মিয়া, শাহেদ, আব্দুল আলী বাগাল, তার দুই ছেলে জুয়েল মিয়া ও রুবেল মিয়া।

আর উস্তার মিয়া, বাবুল মিয়া ও বিল্লাল পলাতক রয়েছেন।

গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দুই পঞ্চায়েত আবদাল মিয়া তালুকদার ও আব্দুল আলী বাগালের মধ্যে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার তদন্ত ও আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে।

হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। হবিগঞ্জ আদালতে মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

গত ১৫ মার্চ মামলাটি সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হলে আরো সাতজনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

খবরটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এরকম আরও খবর
© All rights reserved © 2025

কারিগরি সহযোগিতায় Pigeon Soft