গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নে এআই টেকনিশিয়ান (স্বেচ্ছাসেবী) হিসেবে কৃত্রিম প্রজনন পদে গোলাম মোস্তফা দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করা স্বত্ত্বেও একই পয়েন্টে আহসান হাবীব নামে একজনকে প্রশিক্ষণে প্রেরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, গাইবান্ধা জেলা ও সাদুল্যাপুর উপজেলা কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, উক্ত পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও একই পদে আহসান হাবীবকে অবৈধভাবে ৪ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণের জন্য রাজশাহীর আঞ্চলিক কৃত্রিম প্রজনন ও গবেষণাগার রাজবাড়ি হাটে প্রেরণ করা হয়। অথচ উক্ত ব্যক্তির বিষয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে দায়িত্ব পালন করার সুনির্দিষ্ট কোন বৈধতা নেই। ফলে কোন প্রতিকার না পেয়ে গোলাম মোস্তফা বাধ্য হয়ে সাদুল্যাপুর সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করে এবং বিবাদী আহসান হাবীবের ট্রের্নিং কার্য সম্পন্ন না করার নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করেই জেলা ও সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা পুনঃরায় আহসান হাবীবকেই প্রশিক্ষণের জন্য পায়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।
এদিকে দীর্ঘদিন যাবত কৃত্রিম প্রজনন পদে দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও কোন কারণ ছাড়াই একই পদে আরেকজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ করায় গোলাম মোস্তফা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।