গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ২৭ হাজার পরিবার। পানির বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়নের থৈকড়েরপাড়া, ব্যাঙ্গারপাড়া, পূর্ব আমদিরপাড়া, চান্দপাড়া, কাঠুর, বসন্তেরপাড়া, পূর্ব জুমারবাড়ী, হলদিয়া ইউনিয়নের পাতিলবাড়ী, দিঘলকান্দী, গাড়ামারা, গোবিন্দপুর, নলছিয়া, কুমারপাড়া, কালুরপাড়া, ঘুড়িদহ ইউনিয়নের পূর্ব ঝাড়াবর্ষা, খামার পবনতাইড়, চিনিরপটল, ভরতখালী ইউনিয়নের উত্তর ও দক্ষিণ উল্যার নীলকুঠি, সানকিভাঙ্গা, চিথুলিয়া, সাঘাটা ইউনিয়নের গোবিন্দী, হাসিলকান্দী, উত্তর ও দক্ষিণ সাথালিয়া, হাটবাড়ী সহ ২৪টি মৌজার ৮০ভাগ ঘরবাড়ীতে বন্যার পানি উঠেছে। এ সকল মৌজার সব রাস্তাঘাট ডুবে গিয়ে উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার ৩২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসায় পানি ওঠায় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। পাট ক্ষেত, শাকসবজি, বীজতলা সহ ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এসব এলাকার লোকজন গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী নিয়ে বিপাকে পড়েছে। পানিবন্দী লোকদের দূর্দশা লাঘবে বে-সরকারী সংস্থা গুলোর এগিয়ে আসার কামনা করছেন বানভাসী মানুষেরা। অপরদিকে, গত ২দিনে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা, হলদিয়া ও ঘুড়িদহ ইউনিয়নে বন্যার্ত সাড়ে ৬’শ পরিবারের মাঝে ত্রাণের চাল বিতরণ করা হয়েছে। হলদিয়া ইউনিয়নের বন্যার্ত দূস্থ্য পরিবারের জন্য সরকারী ভাবে ৫ মে:টন চাল বরাদ্দ করা হয়। উল্লেখিত বরাদ্দকৃত চাল জনপ্রতি ১০ কেজি করে বন্যার্ত ৫’শ পরিবারের মাঝে ও ঘুড়িদহ ইউনিয়নে ১’শ ৫০টি এবং সাঘাটা ইউনিয়নে ১’শ ৫০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণকালে সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট, ইউপি সদস্য মজদার রহমান, আজিবর রহমান, নৈবক্স, আব্দুস সাত্তার বাটু, রাহেলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিঠুন কুন্ডু জানান, সরকারী ভাবে জি.আর এর চাল ও শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।