বুধবার ৫ দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ।
এই সফরকে ব্যক্তিগত বলে উল্লেখ করে সূচিতে শুধু আজমির শরিফ জিয়ারতের কথা বলা হলেও এরশাদের সফরসঙ্গী হচ্ছেন মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এরশাদের প্রেস ও পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় ও প্রেসিডিয়াম সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আখতার।
এরশাদের জন্মস্থান কুচবিহার। তিনি মাঝে-মধ্যেই সেখানে যান। আর যাওয়ার সময় সফরসঙ্গী খুবই কম থাকে। কিন্তু এবারের সফরে যুক্ত করা হয়েছে পার্টির গুরুত্বপূর্ণ তিন নীতি নির্ধারককে।
বিশেষ করে সুনীল শুভরায়কে যুক্ত করায় গুঞ্জন বেশ জোরেসোরেই হচ্ছে। কারণ সুনীল শুভরায় জাতীয় পার্টির ভারতীয় লবি মেইনটেইন করেন বলে চাউর আছে। ফলে জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সফরে দিল্লির সঙ্গে এক ধরনের বুঝাপড়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সর্বশেষ, গত এপ্রিল মাসে ভারতের কুচবিহার সফর করেন এরশাদ। তার আগে ২০১৬ সালের ১৮ জুন চারদিনের সফরে দিল্লি ভ্রমণ করেন তিনি। ওই সফরকেও ব্যক্তিগত বলা হলেও রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব, লোকসভার ডেপুটি স্পিকার, কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী, সাবেক সেনাপ্রধান ও বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালক জেনারেল (অব.) নির্মল চন্দ্র ভিজ, রাজ্যসভার ভাইস চেয়ারম্যানসহ আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সুনীল শুভরায় সাংবাদিকদের জানান, সফরটি একান্তই ব্যক্তিগত। তবে কেউ যদি দেখা করতে আসেন, দেখা হলেও হতে পারে। ভারতের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সম্পর্ক অনেক চমৎকার রয়েছে বলেও দাবি করে সুনীল জানান, এই সফরে বিশেষ কোনো কর্মসূচী নেই এরশাদের।