গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটায় যমুনার তীব্র নদীভাঙন শুরু হয়েছে। ফলে হলদিয়ার কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসার পার্শ্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিরক্ষা প্রকল্পের একশ মিটার এলাকা ধসে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ২৪ ঘন্টায় ওই এলাকার অর্ধশতাধিক পরিবারের বসতভিটা, আবাদি জমি, মুল্যবান গাছপালা ও বিভিন্ন স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, হলদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনসহ শতাধিক বাড়িঘর। সরেজমিন গতকাল বৃহস্পতিবার দেখা যায়, ব্রক্ষপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে হলদিয়া, নলছিয়া, কানাইপাড়াসহ ১০টি স্থানে। সাঘাটা উপজেলা সদর থেকে গোবিন্দপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা রাস্তাসহ শতাধিক পরিবারের বসত ভিটা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় গত বছর বালুভর্তি জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করলেও এ বছর তা ধসে যাচ্ছে। ফলে কোনভাবেই ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে হুমকির মুখে রয়েছে সাঘাটার হলদিয়া কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, হলদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন স্থাপনা। এদিকে কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসাটি নদীর মুখে থাকায় মাদ্রাসার প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থীর লেখাপড়া থেকে সাময়িক বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয় আইয়ুব হোসেন বলেন গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকমতো কাজ না করায় এবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে দুই একদিনের মধ্যে মাদ্রাসা ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া কানাইপাড়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার আবদুল খালেক বলেন, প্রতিষ্ঠানটি ভেঙে গেলে এ এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়বে। যত দ্রুত সম্ভব নদীভাঙন রোধ করে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে রক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ- সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল রহমান জানান, গত বছর অস্থায়ীভাবে কাজ করে ভাঙন প্রতিরোধ করতে পারলেও এ বছর আবারো ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধ উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ভাঙন প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।