পিরোজপুরে স্কুলছাত্র সাদমান সাকিব প্রিন্স (১৪) হত্যা মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- নাফিস হাসান নাহিদ (১৯) ও নাজমুল হাসান নাঈম (২১)। এছাড়া লাশ গোপন করার অপরাধে তাদেরকে সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া এ ঘটনায় নাহিদ ও নাঈমের বাবা শফিকুলকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ ৭ জুন দুপুরে পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম কিবরিয়া এ দণ্ডাদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর জেলা ও দায়লা জজ আদালতের পিপি খান মো. আলাউদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট নাহিদ ও নাঈম ক্রিকেট খেলার কথা বলে পিরোজপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ড্রেসমেকিং ট্রেডের ১০ শ্রেণির ছাত্র সাকিবকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর দুই ভাই সাকিবকে হত্যা করে তাদের ঘরের খাটের নিচে লাশ লুকিয়ে রাখে। এরপর রাতে নাহিদ ও নাঈম তার বাবা শফিকুলের সঙ্গে পরামর্শ করে সাকিবের লাশ দুটি কাঠের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে তাদের সিআইপাড়া সড়কের ভাড়া বাসার সামনের রায় পুকুরে ফেলে রাখে।
পরে এলাকাবাসী পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে সাকিবের স্বজনদের খবর দেয়। এরপর সাকিবের স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় সাকিবের বাবা জাকির হোসেন লিটন বাদী হয়ে নাহিদ, নাঈম ও তাদের বাবা শফিকুলকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় নাহিদকে গ্রেফতার করলে সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সে জবানবন্দিতে হত্যার পরে লাশ পুকুরে ফেলার বিষয়ে বাবার পরামর্শ রয়েছে বলে জানিয়েছিল।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রপ্ত নাজমুল হাসান নাঈম পলাতক ছিলেন। এদিকে সাকিবের বাবা নাহিদ ও নাঈমের বাবা শফিকুল রহমানের খালাস পাওয়ার বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আদালতে আপিল করবেন। আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক।