খবরবাড়ি ডেস্কঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চলতি ক্রয় মৌসুমে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ পেরিয়ে গেলেও স্থানীয় সরকারি খাদ্য গুদামে গম ক্রয় সংগ্রহ অভিযান এখনও শুরু হয়নি। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে না কিনে একটি চিহিুত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শুধু কাগজ-কলমেই গম ক্রয় দেখানো হতো। এ মৌসুমে এ পরিস্থিতি ঘটেছে ব্যতিক্রম। প্রকৃত অর্থে এ উপজেলায় গম ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, গম সংগ্রহের চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১৭ মেঃ টন গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু উপজেলার মাঠ পর্যায়ের প্রান্তিক চাষীরা গম উৎপাদন না করায় স্থানীয় খাদ্য গুদামে গম ক্রয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ক্রয় অভিযান শুরু না করা, সংশ্লিষ্ট কমিটির সমন্বয়ের অভাব ছাড়াও নানামুখী স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ এ উপজেলায় ভেস্তে যেতে বসেছে। প্রথমত ২৮ এপ্রিল এবং দ্বিতীয়ত ১৫ মে গম ক্রয়ের নির্দেশনা থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্রয় অভিযান শুরু করা যায়নি বলে জানা গেছে। প্রতি কেজি ২৮ টাকা দরে ক্রয় অভিযানের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ জুন।
ক্রয় অভিযানে বহুমুখী জটিলতা থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে জানা যায়। যখন ক্রয় অভিযান শুরু হলো তখন কৃষকদের ঘরে গম নেই। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহুরুল হক জানান, উপজেলা খাদ্য বিভাগ সরাসরি উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের নিকট থেকে গম ক্রয় করবে মর্মে উপজেলা কৃষি বিভাগের নিকট গম চাষীদের অগ্রাধিকার তালিকা চাওয়া হয়। কৃষি বিভাগ ৫০ জন কৃষকের মোবাইল নম্বরসহ তালিকা দাখিল করেন।
প্রসঙ্গতঃ কৃষি বিভাগ এ উপজেলায় ৭০ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেন। গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা করা হয় ২’১০ মে.টন। এক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি অফিসার আজিজুল ইসলাম জানান, উপজেলায় তালিকাভূক্ত ৩০ জন কৃষকের ৮ হেক্টর পরিমাণ জমিতে গম চাষের জন্য ওইসব প্রান্তিক চাষীদের মাঝে ভুর্তকিতে বীজ প্রদান করা হয়। তিনি জানান, বিনামূল্যে ভুর্তকির বীজ প্রাপ্ত ওইসব প্রান্তিক চাষীরা তাদের উৎপাদিত গম মৌসুমের শুরুতেই স্থানীয় বাজারে বিক্রি করায় কৃষকদের ঘরে গমের মজুদ এখন শূণ্যের কোঠায়।