গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট বকশীগঞ্জ এলাকা থেকে শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে অপহরণের ৭দিন পর ১০ম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আকতারকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১১ জুন/১৭ রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বোয়ালীদহ গ্রামের শাহ আলমের কন্যা স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী শারমিন ভ্যাপসা গরমের কারনে বাড়ীর বাহিরের রাস্তায় গেলে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা চকশারাই গ্রামের ফারুক মিয়ার পুত্র বখাটে যুবক ফিরোজসহ কয়েক জন সহযোগী মোটর সাইকেল যোগে শারমিনকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে ধাপেরহাট অভিমুখে চলে যায়। শারমিনের পিতা শাহ আলম জানান দির্ঘদিন থেকে তার মেয়ে স্কুলে যাতাযাত কালে বখাটে ফিরোজ তাকে বিবাহ করার প্রস্তাবসহ বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। ফিরোজের কু-প্রস্তাবে শারমিন রাজি না হওয়ায় তাকে জোরপুর্বক অপহরন করে নিয়ে গেছে। এঘটনায় শারমিনের পিতা শাহ আলম বাদী হয়ে সাদুল্লাপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রেজাউল করিম সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৭ জুন শনিবার রাতে অপহৃতা স্কুল ছাত্রী শারমিনকে অপহরণের মুল হোতা ফিরোজের বাড়ীর পার্শ্বে থেকে উদ্ধার করেছেন। ভিকটিম শারমিন জানান, তার উপর অমানুষিক শারিরীক নির্যাতন চালানো হয়েছে। রোববার তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, অপহরণের মুল হোতা ফিরোজকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।