খবরবাড়ি ডেস্ক : নির্মাণাধীন রূপসা রেল সেতুর কাজ দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। সেতুর ৮টি পাইলিং-এর ৬টির লোড টেস্টের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে ওয়ার্কিং পাইলের কাজ চলছে। চলতি মাসের মধ্যে ৮ হাজার ৮৩৬টি ওয়ার্কিং পাইলের কাজ শেষ হবে।
এরপর রয়েছে সেতুর ১৪২টি পিলার স্থাপনের কাজ।
রেল সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, মূল সেতুর সাথে চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম থেকেই রেল লাইনের কাজ মংলা বন্দর প্রান্ত থেকে ও খুলনার ফুলতলা থেকে শুরু হয়েছে। মোংলা প্রান্তে এ পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রেল লাইনেরে কাজ শেষ হয়েছে। একই সংগে ফুলতলা থেকে ২৩ কি. মিটারের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এ দু’অংশের কাজ সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন। ইতোপূর্বে সার্ভে, সয়েল টেস্ট ও মাটি কাটার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, রূপসা নদীর ওপর মূল সেতু নির্মাণের কাজ গত এক বছরের বেশী দিন যাবৎ অব্যাহত আছে। সেতুটির এক পাড়ে পুঁটিমারী ও অন্য পাড়ে পূর্ব রূপসার সাথে রেল সড়কের সংযোগ স্থাপন করবে।
তিনি জানান, রেল সেতুর খুলনা অংশে ৩৭০ একর ও বাগেরহাট অংশে ২৭৫ একর এবং মংলা বন্দরের ৭৩ একর জমি অধিগ্রহণও শেষ হয়েছে। খুলনা অংশে ১২ জানুয়ারি এবং বাগেরহাটের অংশে ১৩ এপ্রিল গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় এখন সম্পূর্ণ জমি রেলের মালিকানাধীন হল। এর ফলে আর কেউ অধিগ্রহণকৃত জমি নিজের বলে দাবি করতে পারবে না। এ কাজের জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের ক্ষতিপুরণের অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ জমির মালিক তাদের ক্ষতিপুরণের অর্থ বুঝে পেয়েছেন। বাকিরা জমির দলিল যাচাই-বাছাইয়ে পর পর্যায়ক্রমে অর্থ পাবেন। ক্ষতিপূরণের অর্থের ঘাটতি নেই।
তিনি আরো জানান, ভারত বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ৩৮০১ দশমিক ৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সূত্রঃ বাসস