এই গ্রীষ্মে আসছে রমজান। প্রস্তুতি নিচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। মাহে রমজান একটি সুস্থ মানুষের জন্য যতটা চ্যালেঞ্জের, ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অনেক কঠিন। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ইসলামী চিন্তাবিদরা রোজা রাখার পরামর্শই দিয়েছেন। তবে রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। আসন্ন রমজানে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য কিছু পরামর্শ তুলে ধরছি-
রমজানে ডায়াবেটিস রোগীদের করণীয়ঃ
• সেহরির শেষ সময়ের কিছু আগে সেহরির খাওয়া
• ইফতারের সময় বেশি চিনিযুক্ত খাবার না খাওয়া।
• দিনের বেলা শারীরিক পরিশ্রম ও ব্যায়াম যতটা সম্ভব কমিয়ে দিয়ে ইফতারের এক ঘন্টা পর করা।
• রাতের বেলা পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি (সম্ভব হলে ডাবের জল) পান করা।
• কম মিষ্টি রসালো ফল এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
• রোজার সময় নিজে ডায়াবেটিসের ওষুধ সমন্বয় না করা, এতে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।
• খাবারে তেলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া।
• ভাজাপোড়া খাবার বর্জন করা।
• প্রতিদিন খাদ্য গ্রহণের ক্যালরির পরিমাণ ও নির্দিষ্ট সময় অন্তর ওজন মাপা।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো:
• রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কমে যাওয়া (হাইপোগ্লাইসেমিয়া)।
• রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া (হাইপারগ্লাইসেমিয়া)।
• ডায়াবেটিস কিটোএ্যাসিডোসিস।
• পানি শূন্যতা ও থ্রম্বোএম্বোলিজম।
• কিডনি/লিভার/হার্টের সমস্যা ।
• বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি যিনি একা একা থাকেন।
• গর্ভবতী মহিলা এবং স্তনদানকারী মা।
রমজানে রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ/ইনসুলিন এবং অন্যান্য ওষুধের সময়ের পরিবর্তন করতে হবে। রোজাদার ডায়াবেটিস রোগীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সচেতন থাকতে হবে।