গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ উত্তরজনপদের সর্ববৃহত গো-হাট গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী হাটটিতে নিময়নীতি উপেক্ষা ইজারাদান তিনগুণ হারে অতিরিক্ত টোল আদায় করায় হাটের ক্রেতা বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এতে করে বৃহৎ এই হাটটি ক্রেতা-বিক্রেতা শূণ্য হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এরই প্রতিবাদে আজ দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তরা জানান,উত্তরজনদের সবচেয়ে বৃহৎ গো-হাট ভরখালী। এই হাট থেকেই সরকার প্রতিবছর প্রায় ৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। কিন্তু হাটের ইজারাদার খলিলুর রহমান কোন ধরনের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে তার একটি বাহিনী দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে তিনগুণ হারে টোল আদায় করছে। এতে করে গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, রংপুর, জয়পুরহাটসহ ব্রহ্মপুত্র-যমুনার চরাঞ্চলের মানুষের অন্যতম গো-হাটটিতে ক্রেতা-বিক্রেতা সংখ্যা ক্রমেই কমে যাচ্ছে। একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে হাট কেন্দ্রিক স্থানীয় মানুষজন অর্থ-উপার্জনের পথ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখেন, সাঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট, আঃ জলিল সরকার, রওশন হাবীব ও আফজাল হোসেন।