রাজধানীর বানানীতে ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে গ্রেফতার করে শুক্রবার রাতেই ঢাকায় আনা হয়েছে। তাদের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সিলেট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ সদর দফতরের সমন্বয়ে একাধিক টিম তৈরি করা হয়। এরমধ্যে সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), জেলা পুলিশ এবং ঢাকা থেকে আসা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের টিমসহ একাধিক দল অভিযানে অংশ নেয়। তাদের গ্রেফতার করা হয় নগরীর পাঠানটুলার রশিদ ভিলা থেকে।
‘বনানী ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে ভোররাতে ঢাকায় আনা হয়েছে। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে দুজনকে আদালতে তোলা হবে একই সঙ্গে রিমান্ড চাইবে পুলিশ’ জানিয়েছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান।
আসামিদের গোয়েন্দা কার্যালয়ে ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের অধীনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারের উপ কমিশনার (ডিসি) ফরিদা ইয়াসমিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ সদর দফতরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে। যেখানে আইজিপিসহ পুলিশের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে যেকোনো মূল্যে আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে আলোচনা হয়।
বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ করে ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ৬ মে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বনানী থানায় দায়ের করা এ মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, বিল্লাল হোসেন, সাদমান সাকিফ ও আজাদ। মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি সাফাত ও নাঈম ওই দুই তরুণীর বন্ধু। জন্মদিনের পার্টিতে দাওয়াত দিয়ে হোটেলে নেওয়ার পর সাফাত ও নাঈম হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে রাতভর দুই তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তা ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ আনা হয় মামলায়।