উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় হাজার-হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেখানে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে এবং আরো প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এদিকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায়ও হাজার-হাজার মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমান বন্দরে ভোর পৌনে ছয়টা থেকে বলা দুটা পর্যন্ত বিমান ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
থমথমে আবহাওয়া এবং এখনো ঝড়ো হাওয়া না থাকায় উপকূলীয় এলাকার অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাইছেন না বলে জানান কক্সবাজারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাদেরকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বলবত রেখেছে।
সকাল নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এছাড়া উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপসমূহেও ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোরার কেন্দ্র থেকে ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার রয়েছে।
উপকূলে আঘাত হানার সময় এই গতিবেগ বাড়তে বা কমতে পারে।
তারা বলছে, এর ফলে উপকূলীয় এলাকাতে ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৮ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।সূত্র- বিবিসি