সুন্দরগঞ্জে (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এলজিইডি’র আইডিভুক্ত পাকা রাস্তা কেঁটে অপরিকল্পিতভাবে ত্রাণের ব্রীজ নির্মাণ অব্যাহত থাকায় উপজেলার এলজিইডি অধিদপ্তর ও ত্রাণ অধিদপ্তর মুখো-মুখি অবস্থান নিয়েছে।
জানা গেছে, চরাঞ্চল মানুষের যাতাযতের সুবিধার্থে গত ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনা-বেক্ষণের আওতায় এলজিইডি’র ১৩২৯১৫০৫৭ নম্বর আইডিভুক্ত উপজেলার রামডাকুয়া-শ্যামরায়েরপাঠ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভায়া পঞ্চানন্দ দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত- ৫১ লাখ ৭৭ হাজার ৯শ’ ৪১ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি পাকা করণ করা হয়। পাকা রাস্তাটি নির্মাণ হওয়া মাত্রই উপজেলা ত্রাণ ও দূর্যোগ অধিদপ্তর এলজিইডি’র অনুমতি ছাড়াই তা মাঝ পথে কেটে ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে অপরিকল্পিতভাবে ত্রাণের কালভার্ট নির্মাণ শুরু করেন। এ অবস্থা চলতে থাকায় উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর গত ০৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ সাধারণ সভায় বিষয়টি নিয়ে আপত্তি উপস্থাপন করে জানান এভাবে কালভার্টটি নির্মাণ করা হলে সরকারের বিপুল অর্থ অপচয় ছাড়া জনস্বার্থে কোন কাজে আসবে না।
এছাড়া এলজিইডি’র আইডিভুক্ত রাস্তায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ছাড়া অন্য কোন দপ্তরের ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ বিধি বর্হিভূত। এ মর্মে তার আপত্তিটি উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে গৃহিত হলে তা নির্মাণ স্থগিত রাখার পরামর্শ দেয়। এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার উপজেলা পরিষদের সাধারণ সভার সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে কালভার্ট নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছেন। অপরদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কালভার্টটির নির্মাণ কাজ স্থগিত না করায় উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি/উপ্রসু/গাই/২০১৭/৩৩৬ নম্বর স্মারকে গত ৪ এপ্রিল বিষয়টির প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক, জেলা পরিবষদ চেয়ারম্যানসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে পত্র প্রেরণ করলেও থেকে নেই নির্মাণ কাজ। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম গোলাম কিবরিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান বিষয়টি এলজিইডি’র উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন। এনিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল মনছুর ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী সরকার মুখো-মুখি অবস্থান নিয়েছেন।