গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটায় পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়াকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর সংর্ঘষে নারী সহ ২১জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম নামে একজনের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে। সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার বোনারপাড়া ইউনিয়নের দলদলিয়া গ্রাম বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে একই ইউনিয়নের পূর্ব বাটী গ্রামের মৃত্যু আব্দুল ওয়ারেছ ফকিরের ছেলে আব্দুল মালেক দলদলিয়া গ্রামের সুজন চন্দ্র ও পরিমল চন্দ্র নামে দুই ব্যাক্তির সহযোগিতায় অফিস খরচের কথা বলে গ্রাহক প্রতি সাড়ে চার হাজার করে টাকা উত্তোলণ করেন। পরে গ্রাহকরা জানতে পারেন একটি গ্রাহকের জন্য অফিস খরচ মাত্র সাড়ে ছয়’শ টাকা। এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। গতকাল বুধবার সকালে ওই গ্রামের গ্রাহকদের মধ্যে নরেশ ও অমূল্য নামে দুই ব্যাক্তির কাজ থেকে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা নিলেও তাদেরকে মিটার না দিয়ে তালবাহনা করে আসছিল। এক পর্যায় আব্দুল মালেক ওই দুটি মিটারের জন্য সুজন চন্দ্রকে দায়ী করলে গ্রাম বাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং টাকা আদায় কারী সুজন চন্দ্র ও পরিমল চন্দ্রের পক্ষ নিয়ে গ্রাম বাসী দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে লাঠি ও ধারালো অস্ত্রনিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে শহিদুল ইসলাম (৫০), মনুয়া (৬০) সুজন (২২) অমূল্য (৪০) সুরেশ (৩৫), আফছালাল (৪৫), মান্নান (৬৫), ফারুক (২৫), রিপন (৩০), মৃতুনঞ্জয় (৪০), রামকৃষ্ণ (২২), নয়ন (২১), নিরঞ্জন (৩৩), শুশিল (৫৫), মানিক (৩০), শান্তিবালা (৪৮), সাবিত্রি (৪০), রাধিকা (৩৬), অর্চনা (২৫), পনক (৩২), রিপা (০৩) আহত হয়। এদের মধ্যে শহিদুল ইসলামের দুটি দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ায় সে গুরুত্বর আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। তার অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মধ্যস্ততাকারী আব্দুল মালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ বোনারপাড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আবুল হাসান জানান, মিটার প্রতি অফিস খরচ সাড়ে ছয়শ টাকা। একশ্রেণির দালালের খপ্পরে পরে গ্রাহকরা সর্বশান্ত হচ্ছে। এতে আমাদের করার কি আছে।