জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলে অর্থায়ন প্রত্যাহারের মার্কিন ঘোষণার পর সংস্থার মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত বিশেষ করে বিশ্বব্যাপী নারী ও কন্যা শিশুদের জন্য একটি সভাভশময়াবহ খবর।
জাতিসংঘের বেশ কিছু সংস্থার মতো এর জনসংখ্যা তহবিলও বিশ্বব্যাপী নানা সরকারের অর্থ সহায়তায় পরিচালিত হয়। বিশ্বের ১৫০টি দেশে পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা রোধের মতো নানা কর্মকা- পরিচালনা করে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলে চতুর্থ দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। কেবল এ বছরই এই তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ মিলিয়ন ডলার দেবার কথা ছিলো।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে বিভিন্ন তহবিলে অর্থ বন্ধ করার যেসব প্রতিশ্রুতি করেছিলেন এটি তার মধ্যে প্রথম।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, এ তহবিল গর্ভপাত এবং চীনে অনিচ্ছাকৃত বন্ধ্যা-করণের মতো কাজে সহায়তা করছে।
অ্যান্তনিও গুতেরেস বলছেন, এই সংস্থাটি বিশ্বব্যাপী যে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে সে সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে এই তহবিল বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোন মার্কিন প্রশাসনের সিদ্ধান্ত এবারই প্রথম নয়। প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান, জর্জ বুশ ও তার ছেলে জর্জ ডব্লিউ বুশের আমলেও একই কারণ দেখিয়ে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলে অর্থ সহায়তা দেয়া বন্ধ রেখেছিলো মার্কিন সরকার।
এর আগে ট্রাম্প সরকার বছরের শুরুতে বিশ্বব্যাপী গর্ভপাতের সেবা ও পরামর্শ দেয় এমন যে কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য অর্থ সহায়তা নিষিদ্ধ করে।সুত্র-বাসস