স্পোর্টস ডেস্ক: এ সিরিজ খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলবেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক ও দেশটির হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক ইউনিস খান। যেকোনো মূল্যে সিরিজটা জিততে চায় পাকিস্তান। জয় দিয়েই এ দুই কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে বিদায় জানাতে চায় সতীর্থরা। অধিনায়ক মিসবাহও জয় দিয়ে তাঁর বিদায়ী সিরিজটা রাঙাতে চান। সিরিজের শুরুটাও ঠিক সেভাবেই করল পাকিস্তান। কিংসটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে লিড নিল মিসবাহ বাহিনী।
প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ আমিরের ৬ উইকেট, এর পর ব্যাট হাতে অধিনায়ক মিসবাহর অপরাজিত ৯৯ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের ধসিয়ে দেওয়ার কাজটি করলেন ইয়াসির শাহ। এই ত্রয়ীর দারুণ নৈপুণ্যে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
কিংসটনে ৪ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে পঞ্চম দিনটা শুরু করেছিল স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় দিনে চার ব্যাটসম্যানকে একাই প্যাভিলিয়নমুখী করেন লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ। পঞ্চম দিনে তিনি নিলেন আরো দুটি উইকেট। ইয়াসিরের সঙ্গে এদিন যোগ দিলেন পেসার আব্বাস-আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ।
পঞ্চম দিনের শুরুতেই ভিসাউল সিংয়ের অফস্টাম্প উপড়ে ফেলেন মোহাম্মদ আমির। এরপর মোহাম্মদ আব্বাসের এক ওভারেই ফিরিয়ে দেন দেবেন্দ্র বিশু ও শেন ডউরিচকে। এরপর ওয়াহাব রিয়াজের উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ক্যারিবীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। আর ক্যারিবীয় ইনিংসে শেষ আঘাতটি হানেন ইয়াসির। নিজের ২২তম ওভারে আলজারি জোসেপ ও শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে ফিরিয়ে দিয়ে ক্যারিবীয় লিডটাকে মাত্র ৩১ রানে আটকে রাখেন ইয়াসির। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন কাইরন পাওয়েল। এ ছাড়া হেটমেয়ার ২০ ও দেবেন্দ্র বিশু ১৮ রান করেন।
সহজ জয়ের লক্ষ্যে নামলেও সহজ জয় পায়নি পাকিস্তান। ৩২ রান করতেই সফরকারীদের হারাতে হয়েছে তিন উইকেট। মাত্র ৭ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে শেহজাদকে ফেরান গ্যাব্রিয়েল। আর চতুর্থ ওভারে আজহার আলীকে বোল্ড করেন আলজেরি জোশেপ। এরপর ইউনিস খান ফেরেন মাত্র ৬ রান করে। বাকি সময়টাতে অবশ্য আর কোনো অঘটন ঘটেনি। তিন বলে দুটি ছয় মেরে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক। ৩০ এপ্রিল ব্রিজটাউনে হবে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট।