হায়দরাবাদ টেস্টে অহেতুক শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার পর সাকিব আল হাসানকে বলা হয়েছিলো, ‘আপনি কি একটু বদলাতে পারেন না? অন্তত ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায়?’ উত্তরে সাকিব বলেছিলেন, ‘আমি এভাবেই খেলি। এটা বদলালে আমি আর সাকিব থাকবো না।’
তার ওই মন্তব্যে চলছিলো নানামাত্রিক সমালোচনা। সাকিব বিদ্ধ হচ্ছিলেন সে সব তীর্যক কথায়। কিন্তু মুখে তেমন কিছু বলেননি। ব্যাট হাতে চেষ্টা করছিলেন বটে, তবে হচ্ছিলো না।
কিন্তু হয়ে গেলো কলম্বোতে। দ্বিতীয় দিন বিকেলের শেষ কয়েক বলে আট বলে ১৮ করে জন্ম দিয়েছিলেন নতুন সমালোচনার। ওই রকম অস্থির ব্যাটিং দেখে আবারও সরব হয়ে উঠেছিলেন তার সমালোচকরা। কিন্তু সাকিব কান দেননি কিছুতেই।
তৃতীয় দিনে এসে সাকিব দেখালেন তার টেস্ট ব্যাটিংয়ের সেরা ক্ষমতা। প্রথমে প্রথম সেশনে মুশফিককে নিয়ে গড়লেন ৯২ রানের দারুণ জুটি। মুশফিক আউট হয়ে গেলেও মোসাদ্দেককে পেলেন সাকিব। এবার জুটিতে এলো একশর বেশি রান।
জুটিতে একশ হওয়ার পর মোসাদ্দেক অভিষেকেই পেয়ে গেলেন দারুণ এক হাফ সেঞ্চুরি। এরপর সাকিব তুলে নিলেন পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। সব সমালোচনার এক জবাব— এলো তার ব্যাট থেকেই। চার মেরে করা সেঞ্চুরির পর চোখ- মুখ উজ্জ্বল করে সাকিবের ব্যাট উঁচিয়ে ধরাই বুঝিয়ে দিলো এই সেঞ্চুরিটা ঠিক কী অর্থ বহন করে তার কাছে।
সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব। ১১৬ রান করে আউট হয়ে গেছেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য ৮০-এর বেশি লিড পেয়ে গেছে বাংলাদেশ।