হাতিরঝিলে অবস্থিত বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিকদের প্রস্তুতকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভবন ভাঙতে ছয় মাস সময়সীমা বেধে দিয়েছে আপিল বিভাগ।
বিজিএমইএর আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নের্তৃত্বাধীন ত সদস্যের আপিল আপিল বেঞ্চ এ সময় বেধে দেন।
এর মধ্য দিয়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতেই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
এরআগে, আবেদনের কথা জানান সংগঠনটির আইনজীবী ব্যরিস্টার ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে সাত দিনের মধ্যে ওই ভবন ভাঙতে পদক্ষেপ চেয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ দিয়েছিন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
নোটিশে রাজউক চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, এ নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমাকে (মনজিল মোরসেদ) অবহিত করবেন। অন্যথায় আপিল বিভাগে আপনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে।
গত ৫ মার্চ বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে কত সময় লাগবে তা ৯ মার্চের মধ্যে আদালতে আবেদন করতে বলেছিলেন আপিল বিভাগ। ওইদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রিভিউ আবেদন খারিজ করে বিজিএমইএ ভবন ভাঙার রায় বহাল রাখেন।
আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম। আর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বুধবার এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আদালত যে রায় দিয়েছেন, আমরা মেনে নিয়েছি। আদালত জানতে চাইছেন, এখান থেকে সরে যেতে আমাদের কতদিন লাগবে। সেখানে আমরা তিনবছর সময় চেয়ে পিটিশন করেছি। আমরা এখানে কিছু জরুরি কাজ করি। এ জন্য আমাদের কিছু সময়ের প্রয়োজন। এখন মহামান্য আদালত যেটা বলবেন, আমরা সেটাই করবো।’
কিন্তু দপ্তর সরাতে কেন এতদিন সময় লাগবে? জিজ্ঞেস করা হলে রহমান বলেন, ‘এটা সাময়িকভাবে সরিয়ে নেয়ার মতো বিষয় না। আমাদের আরেকটা স্থায়ী ভবন তৈরি করে সেখানে স্থায়ীভাবে সরে যেতে হবে। সে জন্যই এই সময় দরকার। আমাদের অফিসটা একেবারে ছোট না, তিনশোর মতো কর্মী আছে। এখানে আমরা ইউডি, ইউপি ও সিও ইস্যু করি। সব সময়েই আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হয়।’