আমরা রোজ যে খাবার খাই, তার ভিতর ফাইবারও থাকে। এটি খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। ডায়েটে প্রতি ১ হাজার ক্যালোরিতে জন্য ১৪ গ্রাম ফাইবার থাকা জরুরি। ডায়াটিশয়ানদের মত এমনটাই।
যদি এর চেয়ে কম ফাইবার গ্রহণ করা হয় তা হলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। অনেক লক্ষণ দেখেই বোঝা যায়, আপনি পর্যাপ্ত ফাইবার গ্রহণ করছেন না। গ্যালারি থেকে জেনে নেওয়া যাক।
কোষ্ঠকাঠিন্য: যদি সপ্তাহে ৩ বারের কম মল নির্গমন হয়, তা হলে আপনি সম্ভবত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন। প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় অদ্রবণীয় ফাইবারের অভাবেরই তা হতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি পাওয়া: উচ্চমাত্রার ফাইবার যুক্ত সব্জি খাওয়ার সময় দীর্ঘ ক্ষণ চিবোতে হয় এবং পেট ভরাও থাকে দীর্ঘ সময় ধরে। তাই আপনার খাবারের পরিমাণ কমে।
সব সময় খিদে অনুভব করা: কম ফাইবার যুক্ত খাবার যেমন— প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাক্স খাওয়ার পর আপনার অতৃপ্তির অনুভূতি সৃষ্টি হয়। দ্রবণীয় ফাইবার পরিপাক নালী থেকে জল গ্রহণ করে এবং পেট ভরার অনুভূতি সৃষ্টি করে। অর্থাৎ উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবারের তুলনায় নিম্ন ফাইবারের খাবার খুব তাড়াতাড়ি খিদে বাড়িয়ে তোলে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া: ফাইবার শুধু পেট ভরা রাখতেই সাহায্য করে না বরং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতেও সাহায্য করে।
সহজেই ক্লান্ত হওয়া: আপনি হয়তো ভাবছেন যে কম কার্বোহাইড্রেট ও বেশি প্রোটিন গ্রহণ করার ফলে আপনার ওজন কমবে এবং আপনি ফিট থাকবেন। কিন্তু আপনার শারীরিক কাজ ঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা প্রয়োজন। নিম্ন মাত্রার কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার অর্থাৎ নিম্ন ফাইবারের খাবার খাওয়ার ফলে আপনি ক্লান্ত ও বিচলিত অনুভব করতে পারেন। তাই ফাইবার গ্রহণ কমানো ছাড়াই ওজন কমানোর চেষ্টা করুন।
পেটে ব্যথা: বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃহদান্ত্রের প্রাচীরে ব্যথা এবং যন্ত্রণা হতে পারে। ছোট ছোট থলির মত গঠন তৈরি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সমস্যাটি ডাইভারটিকোলাইটিস নামে পরিচিত এবং এটি লো-ফাইবার ডায়েটের সঙ্গে সম্পর্কিত।