বাংলাদেশের জন্য পাঁচটি সামরিক হেলিকপ্টার কেনা হবে। এই হেলিকপ্টার কেনা হবে রাশিয়ার কাছ থেকে। আর এই বিষয়ে আলোচনা করার জন্য আগামী মাসে রাশিয়া যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি সেখানে ১১ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি সফরে থাকবেন। ওই সময়ে তিনি এই বিষয়ে আলোচনা করবেন। এর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা করবেন।
সূত্র জানায়, রাশিয়া থেকে যে এমআই-১৭ গুলো কেনা হবে এগুলো বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাসিংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে কাজে লাগানো হবে। সেই জন্য এগুলো কেনার বিষয়ে দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এছাড়াও রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী চলতি বছরে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। তিনি কবে আসছেন এই দিণক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তিনি আসলে এই বিষয়ে বাংলাদেশ সব দিক বিবেচনা করেই এই ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে।
সূত্র জানায়, রাশিয়া থেকে পাঁচটি হেল্পিকপ্টার কেনা হচ্ছে। এগুলো অত্যাধুনিক। এম আই-১৭। রাশিয়ার কাছ থেকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবেই বিভিন্ন অস্ত্র সামরিক যান কিনছে। এবার হেলিকপ্টার কিনছে। এই সংক্রান্ত কেনা কাটার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে বাংলাদেশ রাশিয়ার কাছ থেকে মিগ-২৯ কেনা ছাড়াও ২০১৩ সালে জানুয়ারি মাসে প্রয় আট হাজার কোটি টাকার সমরাস্ত্র কিনে। এই টাকা রাশিয়া দিয়েছিল। সেই সময়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পর এনিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হয়। পরে সেনাবাহিনীর জন্য ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ও বিভিন্ন ধরনের সমরাস্ত্র কেনা হয়।
বর্তমানে রাশিয়ার তৈরি এমআই ১৭ হেলিকপ্টার বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনীর কাছে রয়েছে। এটি একটি অত্যাধুনিক সামরিক হেলিকপ্টার। এরমধ্যে ভারত, আলজেরিয়া, মরক্কো, চীন, আফগানিস্তান ও ভিয়েতনাম এর নাম রয়েছে। এই হেলিকপ্টার যে কোন দূযোর্গ পূর্ন আবহাওয়াতেও ও পাহাড়ি পরিবেশেও ওঠানামা করতে পারে। জানা গেছে রাশিয়ার কাজান ও উদেতে এই কপ্টার তৈরি করা হয়। এই সব হেলিকপ্টার গানশিপ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সেই সঙ্গে সৈন্যদের পরিবহণ করে থাকে।
এদিকে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে, বাংলাদেশ রাশিয়ার কাছ থেকে আটটি যুদ্ধ বিমানও সংগ্রহ করার। ইউএসির কাছ থেকে এই সব যুদ্ধ বিমান নেওয়া হবে। জানা গেছে, সম্প্রতি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এখনও বিষয়টি প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে।
এদিকে এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাশিয়ার কাছ থেকে মিগ২৯ কেনা হয়েছিল। এক একটি মিগের দাম ছিল ১ কোটি ১০ লাখ ডলার। ওই সময়ে আটটি মিগ কেনা হয়। ওই সব মিগও বিএনপি সরকারের আমলে একবার বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হিেছল কিন্তু পরে ওই সব মিগ কেনার ক্রেতা মিলেনি। ২০০৯-১০ এ মিগ-২৯ এর জন্য ক্ষেপণাস্ত্র, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১৬টি যুদ্ধবিমান এফ-৭ বিজি ১ এবং সামরিক হেলিকপ্টার কেনা হয়।