ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান বুধবার এই রায় দেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন- ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পেশকার মুসলেহ উদ্দিন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী শেখ মো. নাঈম এবং উমেদার (অবৈতনিক অস্থায়ী কর্মী) মো. ইসমাইল, মো. আলমগীর ও মো. জাহাঙ্গীর।
রায়ে দুটি আলাদা ধারায় সাত বছর করে মোট ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে আসামিদের প্রত্যেককে। সেইসঙ্গে দুটি অপরাধে ১০ হাজার টাকা করে প্রত্যেককে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার টাকা দিতে ব্যার্থ হলে তাদের আরও দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাবাস করতে হবে।
মোট ৭৬টি মামলায় বিচারকের স্বাক্ষর জাল করে ১০৬ জনকে ভুয়া জামিন দেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৫ সালের জুলাই মাসে এ মামলা দায়ের করে।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর সংবাদ মাধ্যম কে বলেন, মোট ১৪ বছরের কারাদণ্ড হলেও দুটি আলাদা ধারার শাস্তি একসঙ্গে চলবে বলে দণ্ডিতরা কেবল সাত বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন।
তিনি জানান, ওই ভুয়া জামিননামাগুলোতে মোট ৬১ জন আইনজীবীর স্বাক্ষর ছিল। তাদের মধ্যে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হলেও বাকি ৪২ জনকে সাক্ষী করা হয়নি।
“এটা তদন্তে গাফিলতি বলে রায় ঘোষণার সময় আদালত উষ্মা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে দুদকে রায়ের কপি পাঠানো হয়েছে।”
দুদকের আইনজীবী বলেন, “এদেরকে (জালিয়াত চক্র) প্রতিহত করা না গেলে এবং সঠিক বিচার করা না হলে আদালতে দুর্নীতিগ্রস্তরা উৎসাহিত হবে বলে রায়ের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করেছে আদালত।”
দণ্ডিতদের মধ্যে মুসলেহ উদ্দিন, নাঈম ও ইসমাঈলকে রায় দেওয়ার সময় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আলমগীর ও জাহাঙ্গীর পলাতক।
দুই বছর ধরে চলা এই মামলার বিচার কাজে রাষ্ট্রপক্ষে ১৫ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত।