উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
বুধবার (২২ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ গ্রামের নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার পর আসনটি শূন্য হয়।
নির্বাচনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ভোট সম্পন্ন করার লক্ষ্যে ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৮ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ১৬টি ইউনিট, ৪ হাজার পুলিশ সদস্য ও আনসার সদস্য ছাড়াও সাদা পোশাকে পুলিশের বিশেষ টিম নির্বাচনী মাঠে কাজ করছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন জানান, নির্বাচনে ১০৯ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৬৩৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ১ হাজার ২৭৪ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বিঘ্নে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ ও যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি কেন্দ্রে
নিরাপত্তা জোরদারসহ চরাঞ্চলে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্য কাজ করছেন।
এ নির্বাচনে লড়ছেন সাত জন প্রার্থী। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগের গোলাম মোস্তফা আহমেদ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (লাঙল), জাসদের মোহাম্মদ আলী প্রামাণিক (মশাল), জেপির ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা (সাইকেল), গণফ্রন্টের শরিফুল ইসলাম (মাছ), এনপিপির জিয়া জামান খান (আম) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা মোহসিন (আপেল)।
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১০৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬২ হাজার ৫৪০ ও মহিলা ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৮৪১ জন।