গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সরকার দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যা মামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী জেল-হাজতে থাকা সাবেক এমপি (অব) কর্ণেল ডা. আবদুল কাদের খাঁনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. শামছুজ্জোহা সরকারকে ওরফে (জোহা) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার দুপুরে গাইবান্ধা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহম্মেদ শামছুজ্জোকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এমপি লিটন হত্যা ঘটনায় সাবেক এমপি (অব) কর্ণেল ডা. আবদুল কাদের খাঁনকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। কাদের খাঁন ও হত্যায় অংশ নেওয়া চার কিলারের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শামছুজ্জোহাকে গত সাতদিন ধরে নজরদারিতে রাখা হয়। এরপর হত্যার ঘটনায় জড়িত সম্পৃক্তার প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় রবিবার ভোর রাতে সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটক শামছুজ্জোহাকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হবে। শামছুজ্জোহাকে লিটন হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হতে পারে।
আটক শামছুজ্জোহা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের কিশামত হলদিয়া গ্রামের আবদুল জোব্বারের ছেলে। শামছুজ্জোহার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা বাজারে একটি রড়-সিমেন্টের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী (এরশাদ) মনোনিত সাবেক এমপি (অব) কর্ণেল ডা. আবদুল কাদের খাঁনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) ছিলেন শামছুজ্জোহা।
লিটন হত্যা মামলার তদন্তকারী পুলিশের একটি সুত্র জানায়, লিটন হত্যার সমন্বয়কারী সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক চন্দন কুমার সরকার গত এক বছর ধরে কাদের খাঁনের চার কিলার নিয়ে শামছুজ্জোহার নলডাঙ্গা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত বৈঠক করতেন। সেখান থেকেও কিলারদের লিটনকে হত্যার জন্য নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হতো।
প্রসঙ্গত: ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টাপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদি হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে ১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।